যে কারণে অবাঞ্ছিত হলেন বিএনপি নেতা মেজর হাফিজ
ভোলা, বিশেষ প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
মঙ্গলবার দুপুরে ভোলা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনে তজুমদ্দিন উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাজী মোস্তাফিজুর রহমান লিখিত বক্তব্যে এ ঘোষণা দেন।
ভোলায় জেলা বিএনপির সম্মেলনকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বিএনপি এই ঘোষণা দেন। আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি ভোলা জেলা বিএনপির সম্মেলন বন্ধের জোর দাবিও জানান স্থানীয় নেতারা।
লিখিত বক্তব্যে হাজী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘বিগত ১/১১ এর সময় আমরা তজুমদ্দিনের দলীয় নেতকর্মীদের সাহস যুগিয়ে দল চাঙা রেখেছি। সে সময় মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ছিলেন সংস্কারপন্থী। যার কারণে তিনি আমাদেরকে ও আমাদের সাথে থাকা তজুমদ্দিন-লালমোহনের বিএনপির নেতকর্মীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকার নির্যাতন, হামলা-মামলা চালান। এমনকি আমাদেরকে দল থেকে বহিষ্কারের ব্যর্থ চেষ্টাও করেন তিনি।’
বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘মেজর হাফিজ তজুমদ্দিন ও লালামোহন বিএনপিকে তিন-চার ভাগে বিভক্ত করে ত্যাগী নেতাদের বাদ রেখে তার নিজস্ব আত্মীয়-স্বজনকে নিয়ে ঢাকা বসে এই দুই উপজেলার পকেট কমিটি গঠন করেন। আর এই পকেট কমিটি দিয়েই আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে প্রধান অতিথি করে জেলা সম্মেলনের চেষ্টা চালাচ্ছেন। আমরা এরকম হটকারি সিদ্ধান্তের জোর প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এর আগে বিষয়টি দলের মহাসচিব, কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও চেয়ারপারসনকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। যদি এরপরেও মূলধারার হাজার হাজার নেতাকর্মীকে পাশ কাটিয়ে সংস্কারবাদীদের দ্বারা গঠিত পকেট কমিটি গঠন করা হয়। তাহলে ত্যাগী নেতাকর্মীরা হতাশা ও দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়বে, যা দলের জন্য অপূরণীয় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এরপরও যদি পকেট কমিটি দিয়ে জেলা সম্মেলন করা হয়, তাহলে আমরা তৃণমূল নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে তা প্রতিহত করবো।’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তজুমদ্দিন উপজেলা বিএনপির প্রস্তাবিত কমিটির সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, শাহ ইমাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন ভুট্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী ছালাহ উদ্দিন, লালমোহন উপজেলা বিএনপির প্রস্তাবিত কমিটির যুগ্ম সম্পাদক তোফায়েল আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াছ কালাম সরদার, আবু ইউছুফ ও ছাত্রদল নেতা আলাউদ্দিন প্রমুখ।