যেকোনো মূল্যে রিফাতের খুনিদের গ্রেফতারের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
অনলাইন ডেক্স । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
বরগুনায় প্রকাশ্যে সড়কে রিফাত শরীফকে হত্যাকারীদের যেকোনো মূল্যে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের চলমান উন্নয়ন কার্যক্রম ও সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ কথা জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, রিফাত হত্যার ঘটনা একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। এর অর্থ এই নয় যে, দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক অবনতি ঘটেছে। হত্যাকারী একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, অন্য হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ তৎপর রয়েছে।
বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডের বিচার নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডের বিচারে সরকারের কোনো নমনীয় অবস্থান নেই। মামলা বিচারাধীন আছে।
এদিকে রিফাত হত্যার ঘটনায় কী অ্যাকশন নেয়া হয়েছে তা জানতে চান হাইকোর্ট। আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুর ২টার মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাসারকে বরগুনার ডিসি ও এসপির কাছ থেকে এ বিষয়ে জেনে হাইকোর্টকে জানাতে বলা হয়েছে।
আদালত ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘প্রকাশ্য দিনের আলোয় এমন ঘটনা ঘটলো, ভিডিও করা হলো, ঘটনাস্থলে লোকজন দাঁড়িয়ে থাকলো, অথচ কেউ সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেনি। এটা সমাজের অবক্ষয়ের চিত্র। সারা দেশের মানুষ এ হত্যাকাণ্ডে মর্মাহত।’
বুধবার (২৬ জুন) সকাল ১০টার দিকে নয়ন নামে এক যুবকের নেতৃত্বে ৪-৫ জন সন্ত্রাসী রিফাতকে দা দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত করার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর নিন্দার ঝড় ওঠে।
ভিডিওতে দেখা যায়, হাতে থাকা একটি প্লাস্টিকের ব্যাগ দিয়ে কোনো রকমে আত্মরক্ষার চেষ্টা চালান রিফাত। কিন্তু তা যথেষ্ট ছিল না। দুই যুবক রামদা দিয়ে তার সারাশরীরে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এ সময় তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি একবার নয়নকে, আরেকবার নয়নের সহযোগী রিফাত ফরাজীকে আটকানোর চেষ্টা করেন। তিনি ‘বাঁচাও’, ‘বাঁচাও’, ‘না’ ‘না’ বলে চিৎকার করতে থাকেন। কিন্তু তার পাশেই দাঁড়িয়ে অন্যরা এ দৃশ্য দেখলেও কেউ এগিয়ে আসেননি।
ততক্ষণে রামদার কোপে গুরুতর জখম হন রিফাত। একপর্যায়ে গুরুতর অবস্থায় রিফাতকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল ৪টার দিকে রিফাত মারা যান। রিফাতের বাড়ি সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের উত্তর বড়লবণগোলা গ্রামে।