রাজপরিবারের নির্দেশেই খুন হয়েছিলেন প্রিন্সেস ডায়না!
অনলাইন ডেস্ক । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
মৃত্যুপথযাত্রী এক ব্রিটিশ গুপ্তচরের কয়েকটা মাত্র শব্দ।কিন্তু তাতেই তোলপাড় সারাবিশ্ব।ব্রিটিশ যুবরানি ডায়না। প্রিন্সেস অফ ওয়েলস। শুধু হার্টথ্রব বললেও কম বলা হয়। ১৯৯৭ সালের ৩১ আগস্টে মর্মান্তিক গাড়ি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান তিনি। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়নি ডায়নার, ব্রিটেনের রাজপরিবারের নির্দেশেই তাকে হত্যা করেছি আমি।এমন কথা বলেছেন জন হপকিন্স।
মঙ্গলবার ভোরে এমন দাবি করলেন এই ব্রিটিশ গুপ্তচর।লন্ডনের একটি হাসপাতাল থেকে দিন কয়েক আগে ছাড়া পেয়েছেন তিনি। বার্ধক্যজনিত কারণে খুব বেশিদিন আর পৃথিবীতে নেই তিনি। ১৯৭৩-১৯৯৯ সালের মধ্যে ২৩টি গুপ্তহত্যায় তিনি জড়িত ছিলেন বলেও জানান এই এমআই-৫ এজেন্ট। তার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য প্রিন্স ডায়নার হত্যা। রাজপরিবারের নির্দেশ অমান্য করার সাধ্য কারও ছিল না।
সংবাদ প্রতিদিনের এক প্রতিবেদনে এমন খবর জানা গেছে।
পাপারাৎজিদের হাত থেকে বাঁচতে দ্রুতবেগে গাড়ি চালানোর ফলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্যারিসের একটি টানেলেই দুর্ঘটনার শিকার হন যুবরানি। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান তার দেহরক্ষী ও চালক। অনেকেই বলেন, গাড়িচালক পল মদ্যপ ছিলেন, তাই দুর্ঘটনা ঘটে। বেশ কয়েকটি বিতর্কিত ওষুধও মেলে পলের ময়নাতদন্তে। কিন্তু আসলে সেসব কিছুই নয়, সবটাই সাজানো, দাবি করছেন হপকিন্স।
দুর্ঘটনার পরই ডায়নার দেহরক্ষীর বাবা অভিযোগ করেছিলেন, রাজপরিবারের ষড়যন্ত্রের কারণেই খুন হন যুবরানি। দুর্ঘটনা ছিল আসলে সাজানো। কিন্তু মেলেনি তার প্রমাণ। বহু বছর ছিলেন জন ব্রিটেনের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার দায়িত্বে।
মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ও অস্ত্র বিশেষজ্ঞ হিসেবে প্রশিক্ষণও রয়েছে। মৃত্যু ও ধ্বংসের ব্যাপারে তার চেয়ে ভালো আর কেইবা জানেন। রাসায়নিক কিংবা বিষবিজ্ঞান তার নখদর্পণে। তাই যুবরানিকেও সরিয়ে দেয়ার মূল চক্রীও তিনিই, জানিয়েছেন হপকিন্স।
আশি বছরের এই ব্রিটিশ নাগরিকের দাবি, এমআই-৫ প্রতিনিধিরা নিঃশব্দে কাজ সেরে ফেলত। তাই জনসমক্ষে তাদের কেউ দেখেনি। সাতজন হত্যা বিশেষজ্ঞের অন্যতম ছিলেন তিনি। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ, সমাজকর্মীকেই খুন করেছেন তিনি।
তবে প্রিন্সেস ডায়নার ব্যাপারটা আলাদা। ডায়নাই একমাত্র মহিলা, যার মৃত্যুর পেছনে ছিলাম আমি, জানান হপকিন্স। ডায়নাই একমাত্র অভিজাত পরিবারের সদস্য যাকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিয়েছিলেন হপকিন্স। রাজপরিবারের নির্দেশেই এ কাজ করেছিলেন তিনি।
ডায়নার হত্যা তার কাছে বেশ একটা পরস্পরবিরোধী ব্যাপার ছিল। একে তুখোড় বুদ্ধিমতী আর চোখ ঝলসানো রূপ। কিছুতেই জন তাকে মারতে চাননি, তবে রানি ও দেশের কথা ভেবেই ডায়নাকে মেরে ফেলতে হয়েছিল। কিন্তু কীভাবে তা ঘটেছিল তা জানাননি হপকিন্স।
কারণ দেশের চাইতে বড় কিছু তো নেই। আর প্রিন্স ফিলিপের নির্দেশ কীভাবে অগ্রাহ্য করবেন তিনি। তাই সরিয়ে দিতেই হয় ডায়নাকে। ডায়নার খুব রাগ ছিল, অভিজাত বংশের অনেক কথাই প্রকাশ্যে বলে দিতে চাইতেন তিনি। তাই রাজপরিবার তাকে বাঁচিয়ে রাখতে চায়নি। খুব সযত্নে সাজিয়ে-গুছিয়ে পূর্বপরিকল্পিতভাবেই খুন করা হয় ডায়ানাকে বলে জানান হপকিন্স।