রাসেলের ক্ষতিপূরণের বিষয়ে বিকেলে জানাতে বলেছেন হাইকোর্ট
আইন-আদালত ডেক্স । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
বাসের চাপায় পা হারানো রাসেল সরকারের ব্যাপারে গ্রিন লাইন পরিবহন কর্তৃপক্ষ কী পদক্ষেপ নেয়, তা আজ বুধবার বিকেলের মধ্য জানাতে বলেছেন হাইকোর্ট। ক্ষতিপূরণের ব্যাপারে গ্রিন লাইন পরিবহন কর্তৃপক্ষ কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তাও জানাতে বলেছেন হাইকোর্ট।
গ্রিন লাইন পরিবহন কর্তৃপক্ষকে রাসেল সরকারকে ৫০ লাখ দিতে হাইকোর্ট যে আদেশ দিয়েছিলেন, তা বাস্তবায়নের বিষয়ে আদেশের জন্য আজ হাইকোর্টে দিন ধার্য ছিল। বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এক আদেশে এসব কথা বলেন।
আদালতে গ্রিন লাইন পরিবহনের আইনজীবী ওয়াজিউল্লাহ রাসেল সরকারকে ক্ষতিপূরণ দিতে এক মাস সময় চেয়ে আবেদন করেন। তিনি বলেন, ক্ষতিপূরণ দিতে এক মাস সময় চাই। এ সময় আদালত বলেন, রাসেল সরকার একজন চালক। তাকে তো কিছু দিলেন না। কিছু দিয়েছেন কি না, এর অগ্রগতি বিকেল ৩টার মধ্যে ওই আইনজীবীকে আদালতে জানাতে বলেছেন।
রিট আবেদনকারী সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী উম্মে কুলসুম বলেন, রাসেল আহমেদকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে কি না বিকেলে ৩টায় হাইকোর্টকে জানাতে বলেছেন বেঞ্চের বিচারপতিরা। এর পরে আদালত আদেশ দেবেন।
বুধবার বাসের চাপায় পা হারানো রাসেল সরকার ও গ্রিন লাইন পরিবহনের মালিক আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মঙ্গলবার রাতে রাসেল সরকার জানিয়েছিলেন, গ্রিন লাইন পরিবহন কর্তৃপক্ষ তার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেনি।
রাসেলের পা হারানোর ঘটনায় কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে আইনজীবী উম্মে কুলসুমের করা এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১২ মার্চ হাইকোর্ট এক আদেশে দুই সপ্তাহের মধ্যে রাসেলকে ৫০ লাখ টাকা দিতে গ্রিন লাইন পরিবহন কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে প্রয়োজন হলে তাঁর পায়ে অস্ত্রোপচার এবং কাটা পড়া বাঁ পায়ে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃত্রিম পা লাগানোর খরচ দিতে ওই পরিবহন কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়। এর অগ্রগতি হলফনামা আকারে ৩১ মার্চের মধ্যে আদালতে দাখিল করতেও বলা হয়।
তবে হাইকোর্টের ১২ মার্চের আদেশের বিরুদ্ধে গ্রিন লাইন পরিবহন আপিল বিভাগ আবেদন করে, যা ৩১ মার্চ খারিজ হয়। ফলে হাইকোর্টের আদেশ বহাল থাকে। এরপর সেদিন হাইকোর্ট ইতিপূর্বে দেওয়া আদেশ ৩ এপ্রিলের মধ্যে গ্রিন লাইন পরিবহন কর্তৃপক্ষকে বাস্তবায়ন করতে বলে আদেশের জন্য ৪ এপ্রিল দিন রাখেন।
ধার্য তারিখে গ্রিন লাইন পরিবহনের মহাব্যবস্থাপক আদালতে হাজির হয়ে জানান, গ্রিন লাইন পরিবহনের মালিক চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে আছেন, ৯ এপ্রিল ফিরবেন। এরপর হাইকোর্ট ১০ এপ্রিল আদেশের জন্য দিন ধার্য করেন। শুনানিকালে সেদিন গ্রিন লাইনের আইনজীবী ও মহাব্যবস্থাপকের উদ্দেশে আদালত বলেন, ১০ এপ্রিল আদেশ বাস্তবায়ন বিষয়ে হলফনামা দেবেন। টাকা না দিতে পারলে ১১ তারিখের টিকিট বিক্রি করবেন না। অগ্রিম টিকিট বিক্রি করে জনগণকে দুর্ভোগে ফেলবেন না।