রাহুলের মাথায় সাতবার স্নাইপারের নিশানা
অনলাইন ডেক্স । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
আবারও গুপ্তহত্যার শঙ্কা গান্ধী পরিবারে। হুমকির মুখে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর জীবন। যে কোনো সময় হত্যা করা হতে পারে তাকে।
নির্বাচনী প্রচারণায় ইতিমধ্যে তার মাথায় সাত সাতবার নিশানা করা হয়েছে ‘স্নাইপারের গুলি’। গুপ্তহত্যার শঙ্কার কথা সরকারের কাছে লিখিতভাবে জানিয়েছে ভারতের সবচেয়ে পুরনো রাজনৈতিক দল কংগ্রেস। চাওয়া হয়েছে পূর্ণ নিরাপত্তার নিশ্চয়তা। খবর এনডিটিভির।
রাহুল গান্ধীর ওপর আততায়ীর হামলা হবে, গুপ্তহত্যার শিকার হবেন তিনি- কংগ্রেসের এ ভয়ও আজগুবি নয়। কারণ এর আগেও তার পরিবারের সদস্যরা গুপ্ত হামলার শিকার হয়েছেন। ঘাতকের বুলেটের নিশানা হয়েছেন রাহুলের দাদি ভারতের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ও বাবা সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী। ১৯৮৪ সালের ৩১ অক্টোবর রাজধানী নয়াদিল্লিতে নিজের দেহরক্ষীর গুলিতে নিহত হন ইন্দিরা। ১৯৯১ সালের ২১ মে তামিল নাড়ুর চেন্নাইয়ের (সাবেক মাদ্রাজ) শ্রীপেরামবুদুর শহরে এক নির্বাচনী জনসভায় আততায়ীর হাতে নিহত হন রাজীব। ভয়াবহ দুই হত্যাকাণ্ড আজও তাড়া করে ফেরে গান্ধী পরিবারকে।
আবারও গুপ্তহত্যার ষড়যন্ত্র সেই পরিবারের আরেক রাজনীতিক রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে। মা সোনিয়া গান্ধী, ছোট বান কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তরুণ নেত্রী প্রিয়াংকা গান্ধীসহ দলের অন্য শীর্ষ নেতাদের নিয়ে বুধবার উত্তর প্রদেশের আমেথিতে মনোনয়নপত্র জমা দেন রাহুল।
জমা দেয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালেই স্নাইপারের নিশানা হন রাহুল। কংগ্রেস নেতারা জানিয়েছেন, স্পেশাল প্রোটেকশন গার্ডের সুরক্ষা বলয়ে থাকলেও ভিন্ন ভিন্ন সাত অবস্থানে তার মাথায় সাতবার লেজার তাক করা হয়।
রাহুল গান্ধী গুপ্তহত্যার শিকার হতে পারেন বলে শঙ্কা প্রকাশ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে একটি চিঠি লেখা হয়েছে। কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা আহমেদ প্যাটেল, মুখপাত্র রণদ্বীপ সুর্যেওয়ালা ও জয়রাম রামেশের স্বাক্ষরযুক্ত ওই চিঠিতে বলা হয়েছে- মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার আগে মন্দিরে পূজা দিতে যান সোনিয়া গান্ধী। মন্দিরে অবস্থানকালেই রাহুলের মাথায় দু’বার লেজার এসে পড়ে। এ দৃশ্য কয়েকটি ভিডিওতেও ধরা পড়েছে এবং সেই ভিডিওগুলো প্রকাশ করেছে কংগ্রেস। দলটির নেতারা জানিয়েছেন, চার নিরাপত্তা সদস্যসহ অনেকেই ভিডিও ফুটেজ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বলেছে, লেজারগুলো স্নাইপার রাইফেলের হওয়ার জোর সম্ভাবনা রয়েছে। চিঠিতে রাহুলের জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদারের দাবির সঙ্গে এ ঘটনা তদন্তেরও দাবি জানানো হয়েছে।