রুপাকে ধর্ষণ ও হত্যায় চারজনের ফাঁসি

 

 

অনলাইন ডেস্ক  কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম

টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসে কলেজছাত্রী জাকিয়া সুলতানা রুপাকে গণধর্ষণ ও হত্যামামলায় চারজনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। রায়ে অপর আসামি সফর আলীর (৫৫) সাত বছরের কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকা জরিমানা হয়েছে।  আজ সোমবার টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এবং অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক আবুল মনসুর মিয়া এ আদেশ দেন।

রায়ে ক্ষতিপূরণ হিসেবে বাসটি রুপার পরিবারকে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সফর আলী ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- ময়মনসিংহ-বগুড়া সড়কের ছোঁয়া পরিবহনের হেলপার শামীম (২৬), আকরাম (৩৫) ও জাহাঙ্গীর (১৯), চালক হাবিবুর (৪৫)। তারা প্রত্যেকেই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। মামলার আসামিরা প্রত্যেকেই এখন টাঙ্গাইল কারাগারে রয়েছেন। এদিকে রায়ের পর ন্যায় বিচারের জন্য উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন আসামি পক্ষের আইনজীবীরা। আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট শামীম চৌধুরী দয়াল ও অ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন।  মামলার বাদী রুপার ভাই হাফিজুর রহমান রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে রায় দ্রুত কার্যকর করার জন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। গত ২৫ আগস্ট বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে রুপাকে চলন্ত বাসে গণধর্ষণ করে পরিবহন শ্রমিকরা। বাসেই হত্যার পর মধুপুর উপজেলায় পঁচিশ মাইল এলাকায় বনের মধ্যে রুপার মরদেহ ফেলে রেখে যায়। এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ ওই রাতেই অজ্ঞাত পরিচয় নারী হিসেবে তার লাশ উদ্ধার করে। পরের দিন ময়নাতদন্ত শেষে রুপার লাশ বেওয়ারিশ হিসেবে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্থানে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মধুপুর থানায় হত্যামামলা দায়ের করে। পত্রিকায় প্রকাশিত ছবি দেখে তার ভাই হাফিজুর রহমান মধুপুর থানায় গিয়ে ছবির ভিত্তিতে তাকে শনাক্ত করেন। গত বছর ১৫ অক্টোবর এ মমলার তদন্তকারী কর্মকর্তা টাঙ্গাইল বিচারিক হাকিম আদালতে পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্র দাখিলের পর দিন ১৬ অক্টোবর মামলাটি বিচারের জন্য নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়। গত ২৫ অক্টোবর আদালত এ অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!