শহীদ বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক আনোয়ার পাশা

শহীদ বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক আনোয়ার পাশা

রণেশ মৈত্র

 

কাল পরিক্রমায় আবারও একটি শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস এসে গেল। এদিনটিতে বিশেষ করে ভাবনায়, স্মৃতিতে, মনের মণিকোঠায় সযতনে, সশ্রদ্ধায় চিরস্থায়ী আসন দখল করে থাকা শহীদ বুদ্ধিজীবীদের যাঁদের ছবি মনের মণিকোঠায় জেগে ওঠে। বেদনার্ত বোধ করি বড্ড বেশী বেশী করে এ কারণে যে তাঁদের এই মহৎ আত্মদানকে আজও আমার অর্থবহ করে তুলতে পারি নি। তাঁদের মহান আদর্শ আজও বাস্তবায়নের অপেক্ষায়। কিন্তু প্রায় ৪৪ বছর আগের মর্মান্তিক এই দিনটিতে স্মরণে আসছে, স্মৃতিপটে ভেসে উঠছে ছোট খাট শ্রদ্ধেয় যে মুখটি তা হলো পাবনা এডওয়ার্ড কলেজের বাংলা বিভাগের অতিমাত্রায় রবীন্দ্রভক্ত অধ্যাপক আনোয়ার পাশাকে। না তিনি সরাসরি বা অপ্রত্যক্ষ কোন ভাবেই আমার শিক্ষক ছিলেন না-যদিও আমার কলেজ জীবন কেটেছে পাবনা এডওয়ার্ড কলেজের একজন ছাত্র হিসেবেই। কিন্তু যেহেতু যেখান থেকে ১৯৫৮ সালে গ্র্যাজুয়েশন নিয়ে আমি বেরিয়ে আসার কয়েক বছর পরে আনোয়ার পাশা বহরমপুর কলেজ থেকে পদত্যাগ করে এসে পাবনা এডওয়ার্ড কলেজের বাংলা শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। আর আমি তখন চুটিয়ে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির(ন্যাপের) রাজনীতি করছি। আর আমাদের দৈনন্দিন সান্ধ্য আড্ডা ছিল পাবনার তদানীন্তন বিখ্যাত দন্ত চিকিৎসক ডাঃ অমলেন্দু দাক্ষীর ডিসপেন্সারী। সেখানে পাবনার সংস্কৃতি সেবী , প্রগতিমনা অন্যরাও এসে ঐ প্রগতিশীলদের সান্ধ্যকালীন আড্ডায় সামিলও হলেন তাতে। সপ্তাহে দু’দিন তিনদিন করে ওখানে যাতায়াত করলন কিছুদিন চিনে-জেনে পরিচিত হয়ে গেলেন সবার সাথে। তার পর যা হবার তাই হলো। তিনি হয়ে গেলেন আড্ডাটির নিয়মিত একজন সদস্য। আমরা যখন তাঁর কাব্যিক সাহিত্যিক গুণাবলীর সন্ধান পেলাম তখন থেকে তাঁকে অবশ্যই বিশেষভাবে আমন্ত্রণ জানাতাম আমাদেরই সাংস্কৃতিক কাজ-কর্ম দ্বারা প্রভাবিত অন্নদা গোবিন্দ পাবলিক লাইব্রেবীর আযোজিত রবীন্দ্র – জয়ন্তী, রবীন্দ্র-প্রয়াণ দিবস, নজরুল জন্ম-বার্ষিকী সহ নানাবিধ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে। তিনিও তাতে সোৎসাহে সাড়া দিতেন। অবাক বিস্ময়ে আমরা লক্ষ্য করলাম দু’তিনটি অনুষ্ঠানে প্রদত্ত ভাষণের মধ্য দিয়েই অধ্যাপক আনোয়ার পাশা শ্রোতামন্ডলীর গভীর আস্থা ও শ্রদ্ধা অর্জন করে ফেলেছেন। তাঁর বাংলা সহিত্যের শিক্ষক ও পন্ডিত হিসেবে সুনাম ও জনপ্রিয়তা দ্রুতই ছড়িয়ে পড়লো জেলার সর্বত্র। যে ছাত্র-ছাত্রীরা সরাসরি তাঁর ক্লাস করতো, তাঁদের মধ্যেও তাঁর জনপ্রিয়তা অল্পেই তুঙ্গে উঠে গেল শিক্ষক হিসেবে তাঁর নিষ্ঠা, নিয়মানুবর্তিতা এবং শিক্ষার্থী ছেলেমেয়েদের প্রতি বৈষম্যহীন স্নেহ প্রীতির কারণে। বস্তুত: তখন পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর প্রায় দেড় দশক অতিক্রান্ত হলেও ব্যাপকভাবে হিন্দু শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্র-ছাত্রী দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ায় যে বিপুল শূণ্যতার সৃষ্টি হয়েছিল ১৯৪৬ থেকে শুরু করে তা তখনও পূরণ হয়নি। বাংলা সাহিত্যের ক্ষেত্রে সৃষ্ট ভয়াবহ শূণ্যতার বেশ খানিকটা পূরণ করলেন অধ্যাপক আনোয়ার পাশা তাঁর যোগদানের অল্পদিনের মধ্যেই। আমাদের মনে একটি প্রশ্ন দেখা দিলো। এত ভাল একজন শিক্ষক হওয়া সত্বেও মুর্শিদাবাদের বহরমপুর কলেজের একই চাকুরীতে ইস্তফা দিয়ে কেন অধ্যাপক আনোয়ার পাশা পাবনার মত ছোট জেলা শহরের একটি বেসরকারী কলেজে চাকুরী করতে এলেন। প্রশ্নটির উত্তর জানতে চাইলে তিনি কি বা মনে করে বসেন এমন একটা দ্বিধাসংকোচ থাকায় বেশ দেরীই হয়ে গেল তাঁকে প্রশ্নটা করতে। কিন্তু মানুষটা তো অত্যন্ত সহজ সরল এবং সত্যাশ্রয়ী। নির্বিবাদে তিনি প্রশ্নটার উত্তর দিলেন, বহরমপুর কলেজে শিক্ষকতায় নিয়োজিত হওয়ার আগে তিনি ঐ কলেজেরই ছাত্র ছিলেন। ওখান থেকে স্নাতকে প্রথম বিভাগে উর্ত্তীর্ণ হয়ে কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যান। সেখান থেকে মাস্টার্সেও কৃতিত্বের সাথে পাশ করেন। তবে তিনি মাষ্টার্সের পর বহরমপুর কলেজের কর্তৃপক্ষের আহ্বানে ঐ কলেজেই যোগদান করেন। ইতিমধ্যে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে একজন অভিজ্ঞতাসম্পন্ন যোগ্য শিক্ষক প্রয়োজন মর্মে দৈনিক আনন্দ বাজারে একটি বিজ্ঞাপন তাঁর নজরে আসে। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করার এক প্রবল আগ্রহ তিনি মনের গভীরে অনেক আগে থেকেই পোষণ করতেন। বিজ্ঞাপনটি আদ্যোপান্ত পড়ে দেখলেন , কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যা যা চেয়েছেন তার সবগুলিই তাঁর আছে। তাই সময়মত তিনি দরখাস্ত পাঠিয়ে দিলেন। যথাসময়ে তাঁর ইন্টারভিউ কার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এসে গেল। তার মর্ম অনুযায়ী নির্দিষ্ট তারিখে তিনি অপরাপর আবেদন কারীর সাথে লিখিত পরীক্ষা দিলেন। বলা হলো, লিখিত পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে মৌখিক (ভাইবা) পরীক্ষার জন্য ডাকা হবে। সময়মত সে আহ্বানও এলো। গেলেন আনোয়ার পাশা বিশ্ববিদ্যায়য়ে আবার। হলো তাঁর মৌখিক পরীক্ষাও। অতঃপর ফিরে এলেন। এবারে অপেক্ষার পালা। কিন্তু সে অপেক্ষার যেন আর শেষ নেই। মাস দুয়েক অপেক্ষা করেও যখন কোন নিয়োগপত্র এলো না তখন সময় করে একদিন গেলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যায়য়ে। গভীর বিস্ময়ের সাথে জানতে পারলেন যে ঐ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়ে গেছে। যাঁকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তিনি যোগদানও করে ফেলেছেন। খোঁজ খবর নিয়ে জানলেন যে লিখিত ও মৌখিক উভয় পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করা সত্ত্বেও নিযোগপত্রটি তাঁর কপালে জোটে নি। আরও অবগত হলেন যাঁকে নিয়োগ পত্রটি দেওয়া হয়েছে তিনি তাঁরই ছাত্র-মেধাবীও নন। টেনে টুনে পাশ করেছেন প্রতিটি পরীক্ষায়। এই খবরে স্বভাবতঃই ক্ষুব্ধ হলেন আনোয়ার পাশা। তাই কেন এমন হলো তা জানার জন্য কৌতুহলী হয়ে তাঁর একজন সরাসরি শিক্ষককে বিষয়টি জিজ্ঞাসা করলেন। জবাবে তাঁর ঐ শিক্ষকটি জানালেন নিয়োগ বোর্ডের চেয়ারম্যান ব্যতিরেকে বাদ বাকী সবাই তাঁকে নিয়োগ দানের পক্ষে মত প্রদান করা সত্বেও আনোয়ার পাশা মুসলিম পিতামাতার সন্তান শুধু মাত্র এই অপরাধে ঐ চেয়ারম্যন তাঁকে নিয়োগ না দিয়ে অপরজনকে দিয়েছেন যাঁকে দিয়েছেন তিনি হিন্দু ঘরের সন্তান। শিক্ষকটি তাঁকে এ নিয়ে মামলা ঠুকে দিতে বললেন আনোয়ার পাশাকে এবং বললেন, এতে নিশ্চিত জয় হবে তাঁর। কিন্তু আনোয়ার পাশা এতটাই বিপর্য্যস্ত হয়ে পড়লেন যে মামলা করার মানসিকতাও তিনি হারিয়ে ফেলেছেন। তাই সে পথে না হেঁটে ফিরে এলেন বহরমপুর কলেজে পুনরায়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাম্প্রদায়িকতা সামান্যতম ঠাঁই পাবে এমন বিশ্বাস তিনি কদাপি পোষণ না করায় এবং ঐ ঐতিহ্যবাহী বিশ্ববিদ্যালয় সম্পূর্ণ সাম্প্রদায়িকতামুক্ত এমন দৃঢ় আস্থা এতকাল পোষণ করায় অধ্যাপক আনোয়ার পাশা প্রচন্ড মানসিক আঘাতে দীর্ণ হলেন। যা হোক অতঃপর অল্পকালের মধ্যেই একই সংবাদপত্রে একটি বিজ্ঞাপন দেখলেন সেটিতেও বাংলার অধ্যাপক চাওয়া হয়েছে। মনের সাথে লড়াই করে অবশেষে তিনি দরখাস্ত করেই ফেললেন পাবনার এডওয়ার্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ বরাবর। অতি অল্পকালের মধ্যেই নিয়োগপত্রও পেয়ে গেলেন ডাকযোগে। এবারে স্থির করলেন, সপরিবারেই দেশত্যাাগী হবেন। হলেনও তাই। ঘৃণাই ধরে গেল তাঁর মনে এই সাম্প্রদায়িকতার শিকার হওয়াতে। তাও আবার হিন্দু সাম্প্রদায়িকতা এবং কলকাতার মত স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে।

আনোয়ার পাশা রাজনীতি করতেন না । তবে মনে মনে ছিলেন কংগ্রেসপন্থী পাকিন্তান ছিল একটি সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র। সেই সাম্প্রদায়িক পাকিস্তানেই তিনি চলে এলেন। সপরিবারে বসবাস করতে লাগলেন-পাকিস্তানের বা সাম্প্রদায়িকতার অনুগামী হয়ে নয় বরং তার ঘোরতর বিরোধী হয়ে। এখানে এসে ঐ আড্ডার অংশীদার হয়ে তিনি তাঁর অজান্তেই যেন কিছুটা ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপের) সমর্থক বনে গেলেন মনে মনে। বস্তুতঃই তিনি ছিলেন একজন খাঁটি জাতীয়তাবাদী। ১৯৬৪ সাল। পাবনাতে হঠাৎ করে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ঘটে গেল। কিছুকাল আগে অনুষ্ঠিত মালদহের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার প্রতিশোধ নিতে। পাবনার নিরাপরাধ হিন্দুরা তার অসহায় শিকার হলেন। ৩১টি মানুষ আইনজীবী-শিক্ষক-ব্যাবসায়ী নির্বিশেষে নির্মমভাবে নিহত হলেন শত শত নর-নারী হলেন আহত, কিছু যুবতী ধর্ষিত, হাজার হাজার বাড়ীঘর ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে ছাই করে দেওয়া হলো। পাবনার জীবনযাত্রা অচল হয়ে পড়লো আতংকে। যে পুলিশ দাঙ্গা প্রতিরোধ করবে, তারাই দিব্যি দাঙ্গাকারীদের বড় সহায়ক ভূমিকা পালন করলো। পথ দেখিয়ে দেওয়া থেকে সব কিছু। দাঙ্গার শুরু একেকবারেই সন্ধ্যারাতে কিন্তু তা চললো রাত তিনটা অবধি। ট্রাকে করে এক এলাকা থেকে অপর এলাকায় সশস্ত্র দুর্বৃত্তদেরকে আনা নেওয়া চলছিল পুলিশের নাকের ডগায়ে। কয়েকজন বন্ধুকে সাথে নিয়ে অপর এক বন্ধুর বাড়ীর ছাদে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে রাতভর ঐ দৃশ্য দেখলাম আর পাকিস্তান নামক বলিহারী মার্কা দেশটিকে বাহবা দিলাম অনেক নিরপরাধ প্রাণ ও সম্পদের বিনিময়ে। যা হোক, পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ, তখন বেসরকারী, হিন্দু ছাত্রাবাসের জনা ত্রিশেক ছাত্র খবরটি শুনে মহা আতংকে ছুটে গেল অধ্যক্ষের বাসভবনে। বহুবার কলিং বেল টেপা ও দরজা ধাক্কানোর পর লুঙ্গি পরা অবস্থায় তিনি বেরিয়ে দরজাটা সামান্য ফাঁক করে রাগত স্বরে জিজ্ঞেস করলেন,”কে তোমরা”। ছাত্ররা পরিচয় দিয়ে আতংকের কথা বলে তাদের প্রাণে বাঁচানোর আবেদন জানালে তিন ধপাস করে দরজা বন্ধ করে দিয়ে বললেন,”দরকার হলে এসপি’র কাছে যাও। আমার কিছু করার নেই”। হতাশ হয়ে ফিরে এলো ছাত্ররা। ইতোমধ্যে দেখা গেল একটি রিকসা নিয়ে ছুটে এলেন অধ্যাপক আনোয়ার পাশা। তিনি ঐ আতংকিত ছাত্রদেরকে জিজ্ঞেস করলেন তারা কেমন আছে। সব শুনে তিনি নাইট গার্ডকে ডাকলেন। ডেকে টিচার্স কমন রুমটির দরজা খুলে দিতে বললেন। দরজা খুলতেই আনোয়ার পাশা ছাত্রদেরকে ঐ কক্ষে ঢুকিয়ে দিয়ে নাইটগার্ডকে তালা বন্ধ করে দিতে বললেন আর ছাত্রদেরকে বললেন, তোমরা ভেতরে চুপচাপ থাকো। কথাবার্তা চীৎকার – চেঁচামেচি কিছুই করবে না। অন্য কেউ ডাকলেও না। আমি বাসায় যাচ্ছি তোমাদের জন্যে কিছু খাবার পানি নিয়ে আসি।” এই কথা কটি বলেই তিনি বাসায় গিয়ে তাঁর স্ত্রীকে জনাত্রিশেকের মত ভাত-তরকারী রান্না করতে বললেন। রান্না শেষ হতেই আনোয়ার পাশা দুটি রিকসা ডেকে খাবার ও এক হাঁড়ি পানি ও কয়েকটি গ্লাস সঙ্গে নিয়ে চলে গেলেন কলেজ ক্যাম্পাসে। নাইট গার্ডকে ডেকে টিচার্স রুমের দরজা খুলিয়ে খারারগুলি ঢুকিয়ে দিতে বললেন পানির হাঁড়ি ও গ্লাসগুলি সহ। ছাত্রদেরকে ওগুলি খেয়ে ঘুমিয়ে যেতে এবং নাইটগার্ডকে পুনরায় দরজায় তালা লাগাতে বলে সকালে অবস্থা ভালো থাকলে দরজা খুলে দিতে এবং ছাত্রদেরকে তাদের হোটেলে ফিরে যেতে বললেন। তবে অবস্থা খারাপ থাকলে এই রুমেই থাকতে বলে তিনি বাসায় চলে গেলেন। এ ভাবেই যে হিন্দু সাম্প্রদায়িক শক্তির দাপটে দেশ ছেড়ে এসেছিলেন অধ্যাপক আনোয়ার পাশা সেই হিন্দু ছাত্রদেরকে এভাবেই তিনি বাঁচালেন। কিন্তু ১৯৭১ এ ? তখন ও তো উগ্র ইসলাম পন্থী ও সাম্প্রদায়িক শক্তিগুলি পাকিস্তান রক্ষার নামে লক্ষ লক্ষ হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খৃষ্টান সহ অগণিত বাঙালি নিধনে লিপ্ত হলো। নির্মমভাবে তারা হত্যা করলো অধ্যাপক আনোয়ার পাশার মত আরও অনেক বুদ্ধিজীবীকে। অধ্যাপক আনোয়ার পাশা ৩০ জন হিন্দু ছাত্রকে বাঁচালেন সাম্প্রদায়িক শক্তির হাত থেকে কিন্তু পারলেন না একই শক্তির হাত থেকে নিজেকে বঁচাতে মুসলিম মা-বাবার সন্তান হয়েও। অবনত মস্তকে শ্রদ্ধা জানাই শহীদ অধ্যাপক আনোয়ার পাশা সহ মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদকে।


 

 

  • প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব। কাগজ২৪-এর সম্পাদকীয় নীতি/মতের সঙ্গে লেখকের মতামতের অমিল থাকতেই পারে। তাই এখানে প্রকাশিত লেখার জন্য কাগজ২৪ কর্তৃপক্ষ লেখকের কলামের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে আইনগত বা অন্য কোনও ধরনের কোনও দায় নেবে না।

 

কাগজ টুয়েন্টিফোর বিডি ডটকম এ প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!