শেরপুরে প্রিয়াংকার গাড়ি বহরে হামলা, অভিযোগ জানাতে গিয়ে ১১ নেতা-কর্মী আটক
অনলাইন ডেস্ক । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেরপুর-১ (সদর) আসনে জাতীয় ঐক্যজোট সমর্থিত বিএনপি প্রার্থী ডাঃ সানসিলা জেবরিন প্রিয়াংকার গাড়ির বহরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার বিকেলে সদর উপজেলার ঘুঘুরাকান্দি এলাকায় ওই হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় প্রিয়াংকার পাজেরো গাড়ি ভাঙচুর এবং তার আত্মীয়সহ ১০ নেতা-কর্মী আহত হয়। পরে প্রার্থী প্রিয়াংকা ওই ঘটনার বিষয়ে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ জানাতে গেলে সঙ্গে থাকা জেলা বিএনপি নেতা হাতেম আলীসহ ১১ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। এদিকে প্রিয়াংকার গাড়ি বহরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও নেতা-কর্মীদের আহত করা এবং ওই ঘটনায় অভিযোগ জানাতে গিয়ে উল্টো নেতা-কর্মীদের আটকের ঘটনায় সর্বত্র উদ্বেগ-আতঙ্কের পাশাপাশি উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।
জানা যায়, আজ বিকেল ৪ টার দিকে সদর উপজেলার ঘুঘুরাকান্দি এলাকায় নিজের একটি পাজেরো গাড়িতে ডাঃ প্রিয়াংকা তার মা’সহ অন্যান্য আত্মীয়-স্বজন ও দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে নিয়মিত গণসংযোগে বের হন। বেলা সাড়ে ৪ টার দিকে ঘুঘুরাকান্দি গ্রামে পৌঁছালে সেখানকার আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা গণসংযোগে বাঁধা দিয়ে গাড়ির বহরটি ফিরিয়ে দেয়। ওইসময় তারা শান্তিপূর্ণভাবে গাড়িটি ঘুরিয়ে আসার সময় পেছন থেকে লাঠিসোটা নিয়ে গাড়ির পেছনের ও দু’পার্শ্বের কাঁচ ভেঙে ফেলে এবং গাড়িতে বসা লোকজনের উপর হামলা করে।
এতে প্রার্থীর খালা ও ভাইসহ ১০ জন আহত হন। পরে প্রিয়াংকা গাড়িটি নিয়ে শহরে ফিরে এসে বিষয়টি জেলা রিটানিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক আনারকলি মাহবুবের কার্যালয়ে দেখা করতে চাইলে প্রথমে তার সঙ্গে রিটার্নিং কর্মকর্তা দেখা করতে না চাইলে তার দরজার সামনে বসে প্রায় ৪০ মিনিট অবস্থান নেন ডাঃ প্রিয়াংকা। এক পর্যায়ে প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা এসে পরিস্থিতি শান্ত করে রিটার্নিং কর্মকর্তার সাক্ষাত দেন। ওইসময় ডাঃ প্রিয়াংকা আবেগতাড়িত হয়ে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তাকে ঘটনার বিবরণ খুলে বলেন এবং তার বিচার ও নিজের নিরাপত্তার দাবি জানান। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ওইসময় প্রার্থীকে শান্ত হয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসসহ ঘটনাটি নির্বাচনী ইলেক্ট্ররিয়াল সেলে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেন।
এদিকে কার্যালয়ের নিচে উত্তেজিত নেতা-কর্মী ও আত্মীয়রা ক্ষোভ জানালে সেখানে অবস্থানরত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পুলিশ সদস্যরা প্রার্থীর আত্মীয়-স্বজন ও বিএনপি নেতা হাতেম আলীসহ ১১ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। সূত্র-মানবজমিন।