২৬ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইল জেলায় সকাল-সন্ধ্যা পরিবহন ধর্মঘট
অনলাইন ডেস্ক । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
টাঙ্গাইলে আগামি ২৬ ফেব্রুয়ারি(সোমবার) সকাল-সন্ধ্যা পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে জেলা বাস-কোচ-মিনিবাস মালিক সমিতি ও জেলা বাস কোচ-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়ন। সংগঠন দু’টির নেতারা সোমবার(১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ওই ঘোষণা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ডাকাতের হাতে যাত্রীবাহী বাসের চালক নিহত হওয়ার ঘটনায় আসামিদের আগামি সাত দিনের মধ্যে গ্রেপ্তারের আল্টিমেটাম দিয়েছে সংগঠন দুটি। ওই দাবিতে আগামি ২৬ ফেব্রুয়ারি সকাল-সন্ধ্যা জেলায় সব ধরণের যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়। এরমধ্যেও দাবি পুরণ না হলে জেলায় অনির্দিষ্টকালের জন্যে পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হবে বলে হুশিয়ারি দেন নেতৃবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সংগঠন দুটির নেতৃবৃন্দ গোড়াই হাইওয়ে পুলিশের অফিসার ইনচার্জ সহ সকল কর্মকর্তাকে অবিলম্বে প্রত্যাহার, সড়ক ও মহাসড়কে অবৈধ যান সিএনজি চালিত অটোরিকশা, করিমন, নছিমন, ভটবটি, লেগুনা অবিলম্বে বন্ধ, গাড়ি রিকুইজেশনের নামে পুলিশের চাঁদাবাজি ও হয়রানি বন্ধ এবং রাস্তায় গাড়ি চুরি ও যাত্রীদের নিরাপত্তা প্রদানের দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, টাঙ্গাইল জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি খন্দকার ইকবাল হোসেন, টাঙ্গাইল জেলা বাস-কোচ-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি খন্দকার আহসানুল হক পিটু ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম লাভলুসহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, গত ১২ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকার মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে ধলেশ্বরী পরিবহনের যাত্রীবাহী বাস(ঢাকা মেট্রো ব-১১-৬৪৪৬) ছেড়ে আসে। বাসটি টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে পৌঁছলে যাত্রীবেশি ডাকাতরা চালককে ছুড়িকাঘাত করে বাসের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। দুস্কৃতকারীরা বাসের যাত্রীদের সর্বস্ব লুটে নেয়। বাসটি সেখান থেকে ঘুড়িয়ে আশুলিয়া এলাকার পরিত্যক্ত স্থানে রেখে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। এ সময় বাসের চালক শাজাহান মিয়া অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মারা যান। এ ব্যাপারে নিহতের ভাই মজিবর রহমান বাদি হয়ে আশুলিয়া থানায় মামলা করেছেন।