টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায় সরকারি খাল দখল করে বাধ দিয়ে পুকুর খনন করা হচ্ছে
মো. রাশেদ খান মেনন (রাসেল), টাঙ্গাইল, বিশেষ প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার দিঘলকান্দি ইউনিয়নের শ্যামবিয়ারা ও দিঘলকান্দি গ্রামের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া শত বছরের পুরনো খাল অবৈধভাবে দখল হয়ে যাচ্ছে। খাল দখল করে বাধ দিয়ে চলছে পুকুর খনন। এলাকাবাসী ও ইউনিয়ন ভূমি অফিস বাঁধা দিলেও তোয়াক্কা করছে না প্রভাবশালী দখলদাররা।
এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রায় একশত বছরের পুরনো এই খালটি। ঝিনাই নদীর শাখা এটি। ভূমির নকশা অনুসারে এর প্রশস্ত ৪৫ ফুট। উপজেলা প্রশাসন থেকেও পর্যায়ক্রমে খনন করা হয় খালটি। সর্বশেষ ১৯৯১ সালে সরকারিভাবে খালটি খনন করা হয়। শত শত একর কৃষি জমির সেচ ও পানি নিস্কাশন হয় এই খালকে কেন্দ্র করে। কিন্তু পুকুর খনন করে পাড় বেঁধে খালের প্রায় পুরো মুখটাই আটকিয়ে দেয়া হয়েছে। ফলে বর্ষাকালে জলাবদ্ধতায় খালের উজানের অনেক জমির ফসল তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। খনন করা পুকুরের খুব কাছাকাছি খালের উপর রয়েছে বড় একটি ব্রিজ। ভেক্যু দিয়ে অনেক গভীর থেকে মাটি কাটার কারনে ব্রিজটিও রয়েছে ঝুঁকিতে। শ্যামবিয়ারা গ্রামের আকবর হোসেন বলেন, পুকুর খনন করে খালে বাধ দেয়ার ফলে ঠিকমত পানি নিস্কাশন হতে পারবে না। বর্ষার পানিতে আমাদের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হবে। খালের সাথে থাকা আড়াই বিঘা পৈত্তৃক সম্পত্তিতে পুকুর খনন করতেছে শ্যাম বিয়ারা গ্রামের তিন ভাই হায়দার আলী, হারুন মিয়া ও হুমায়ুন। জানা যায়, পুকুর খননের জন্য উপজেলা মৎস অফিসের যে অনুমতিপত্র লাগে তাও তাদের নেই।
এ বিষয়ে খনন করা পুকুরের মালিক হায়দার আলী বলেন, আমি খাল দখল করে পুকুর কাটি নাই। খাল আমার জমির উপর দিয়ে গেছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য (মেম্বার) হিটলু বলেন, মিথ্যা প্রত্যায়ন এনে অনেকেই খাল দখল করে আসছে। দখল এমন পর্যায় পৌঁছেছে যে খালের কোন চিহৃ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এভাবে পুকুর কাটলে ভারী বর্ষন হলে শত শত একর জমির ফসল ডুবে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
দিঘলকান্দি ইউপি ভূমি অফিসের সহকারি শামছুল হক খান বলেন, পুকুর খননে আমি বাঁধা দিয়েছি এবং বিষয়টি উপজেলা ভূমি অফিসকে অবহিত করেছি।
দিঘলকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমি জানিনা। উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) নূর নাহার বেগম বলেন, বিষয়টি আমি জানার পর খনন কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। তার পরও যদি তারা এ কাজ করে তবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।