সরকারি নিয়মের তোয়াক্কা না করেই চেয়ারম্যানের নির্দেশে ৭০ টি গাছ কর্তন
নাজমুস সাকিব মুন, পঞ্চগড় প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
সরকারি শর্ত পূরণ না করেই পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার শালবাহান ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরের প্রায় ৭০টি গাছ নির্বিচারে কাটার অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, বিনা কারণে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান লিটন তার লোকজন দিয়ে গাছগুলো কেটে গোপনে বিক্রির চেষ্টা করছিলেন।পরে স্থানীয়রা প্রতিবাদ জানালে গাছগুলো ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরেই জমা করে রাখা হয়।
সরকারি শর্ত পূরণ না করে বিনা কারণে পরিষদ চত্বরে সুশোভিত বড় বড়গাছগুলো কাটায় ওই এলাকায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।বিষয়টি তদন্ত করে বিচারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানান, গত এক সপ্তাহ আগে পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার শালবাহান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান লিটন হঠাৎ তার লোকজন দিয়ে পরিষদ চত্বরের গাছগুলো বিনা কারণে কাটতে থাকে।ওই পরিষদের চত্বরের চারপাশে থাকা মেহগনি,কাঁঠাল,আকাশমনি ও জলপাইসহ বিভিন্ন প্রজাতির বড় বড় গাছ কেটে ফেলা হয়। স্থানীয়রা কিছু বুঝে উঠার আগেই ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা মূল্যের প্রায় ৭০টি গাছ কেটে ফেলে লিটন চেয়ারম্যানের লোকজন। গাছগুলো কেটে জমা করে রাখা হয় পরিষদ চত্বরেই। তার মধ্য থেকে কিছু গাছের লগ গোপনে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। পরিষদ চত্বরে কাটা কিছু গাছের গোড়ালি তুলে সরিয়ে ফেলা হলেও অধিকাংশ গাছের গোড়ালি এখনো রয়ে গেছে।
এ বিষয়ে শালবাহান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান লিটনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি।তবে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন।