সরকারিভাবে ২৩ জুলাই কে ‘জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হোক-পিপলস হেল্থ মুভমেন্ট-(পিএইচএম)-বাংলাদেশ
অনলাইন ডেক্স । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
বিগত ২০০৭ সাল থেকে মানসিক স্বাস্থ্য অধিকারও সচেতনতা বিষয়ে কর্মরতবিভিন্ন সংগঠন (উৎস, টিটিসিডি, এইউডিসি, মা) ‘জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য দিবস’ ঘোষণার জন্য অধিপরামর্শসহ নানান কর্মসূচির পাশাপাশি দিবসটি বেসরকারিভাবে যথাযথ মর্যাদায় পালন করে আসছে। একই সাথে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলে স্মারকলিপি প্রদান, অধিপরামর্শ করছে সরকারিভাবে ‘জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য দিবস’ ঘোষণার জন্য। তারই ধারাবাহিকতায় আমরা বাংলাদেশে ২৩ জুলাই’কে ‘জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য দিবস’ ঘোষণা ও সরাকারিভাবে তা উদযাপনের দাবিকে সমর্থণ জানাচ্ছে পিপলস্ হেল্থ মুভমেন্ট-(পিএইচএম)-বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের মানসিক স্বাস্থ্যের বর্তমান অবস্থা বিবেচনা করলে বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের দাবী রাখে। দেশে অনেক জাতীয় দিবস থাকলেও জনগুরুত্বপূর্ণ মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক কোন জাতীয় দিবস নেই, নেই কোনপরিকল্পনা ও নীতিমালা, যা অত্যন্ত দুঃখজনক ও হতাশাব্যঞ্জক। সামগ্রিকপরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে মানসিক স্বাস্থ্য ইস্যুটি গুরুত্ব সহকারে উপলব্ধি ও বাস্তবতার নিরিখে একটি গণমুখী ও সহায়ক নীতিমালা প্রণয়নের সুযোগ ও ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে অনতিবিলম্বে সরকারিভাবে একটি জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য দিবস ঘোষণা করা সময়ের দাবি।
এই সময় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সবচেয়ে প্রধান কাজটি হচ্ছে দিনের বেশিরভাগ সময় বাড়ির ভেতরে থাকা। বর্তমান সময়ে তাই বেশিরভাগ মানুষই বাড়ির ভেতরে আছে। মনোবিজ্ঞানীদের মতে, করোনাকালের এই পরিস্থিতি মানুষকে মানসিকভাবে চাপে পড়ে মানসিক স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায় যে, পারিবারিক সহিংসতা বেড়ে গেছে। এটাও একটা মানসিক স্বাস্থ্যের নেতিবাচক লক্ষণ। তাই ব্যক্তির মন তথা মানসিক সুস্থতা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। রাষ্ট্রীয় যে কোন পরিকল্পনায় মানসিক স্বাস্থ্য সেবাখাতকে প্রাধান্য দিয়ে যৌক্তিক হারে অর্থ বরাদ্দ রেখে যে কোন পরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন জাতিসংঘ এর মহাসচিব এন্তেনিও গুতিরেস।
২৩ জুলাইকে ‘জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য দিবস ঘোষণা’র দাবীর সাথে আমরা একাত্মতা ঘোষণা করছি। একই সাথে পিএইচএম নেতৃবৃন্দ ‘মানসিক স্বাস্থ্য আইন ২০১৮’ মন্ত্রী সভায় অনুমোদনের জন্য সরকারকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছে। যা বর্তমান সরকারের ভিশন ২০২০ অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করে পিএইচএম-বাংলাদেশ।