ডাঃ গোলাম রহমান ব্রাইট এর কবিতা- সাঁঝের বেলা
সাঁঝের বেলা
ডাঃ গোলাম রহমান ব্রাইট
প্রথম প্রহরে ডেকেছি তোমায় ভেংচি কেটে ছিলে
সর্বস্ব হারিয়ে বিকিয়ে জীবন শেষ বিকেলে এলে!
কোথায় গেলো গর্ব দেমাক ফেলেছো সবই গিলে
ধন-দৌলত, শান্তি-খ্যাতির কোনটা বলো পেলে?
আবেগে এতো উন্মত্ত ছিলো যৌবন জোয়ারে ভেসে
শতেক যুবকের প্রেম প্রস্তাব উড়িয়ে দিয়েছে হেসে।
অভাব তাকে বিভ্রান্ত করেনি দেয়ালে পিঠ ঘেঁষে
পরোয়া করেনি কাউকে তাই গিয়েছে ঠিক ফেঁসে।
মুখের পরে বলেছে সেদিন ‘তেলে জলে কি মেশে’!
মোটেই অবাক হয়নি তখন ফল পাকে তো শেষে।
কিছু কাল পরে শুনতে পেলাম,
তার বর্ণনা এবার নিম্নে দিলাম;
প্রথমে ক’দিন কাটলো ভালো দেখতে হলো কতো
সতীনকাঁটা এক হঠাৎ এলো গৃহিণী আমার মতো।
খুড়িয়ে খুড়িয়ে যাচ্ছিলো সময় দিন গড়াচ্ছে যতো
ক’দিন যেতে আবারও আপদ হৃদয়টা হলো ক্ষত।
সামলে নিতে আর পারছিনা করাতে পারি না রস্ত
কথা শোনে না পাশে থাকে না বিপথে যায় ততো।
খবর রাখে না সুপথে চলে না আনন্দ হয়েছে গত
এমন কাউকে কাছেই পাইনা সাহায্য করার মতো।
ভাবনা চিন্তায় ভঙ্গুর দেহে অসুস্থ থেকেও দেখি
খোঁজ নেয় না দেখা দেয় না পুরো জীবন মেকি।
কূল কিনারা আর হলো না পিঠে দেয়াল ঠেকি
দেমাক দর্প হারিয়ে এখন ‘আমড়া কাঠের ঢেঁকি’।
আঘাতে এমন শিক্ষা পেলাম মর্মার্থ রেখে গেলাম
ভরা যৌবন কেমন ছিল, সাঁঝের বেলা কি হলাম!