সিরাজগঞ্জের ‘খাঁটি’ দুধের গোমর ফাঁক!
অনলাইন ডেস্ক । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
তারপর সেই দুধ দেশের বিভিন্ন নামিদামি ব্র্যান্ডের কোম্পানির মাধ্যমে প্যাকেটজাত হয়ে ছড়িয়ে পড়ছে সারা দেশে।
শুধু তাই নয়, বিষাক্ত এ নকল দুধের ক্রিম থেকে তৈরি হচ্ছে খাঁটি গাওয়া ঘি। এসব দুধের ছানা থেকে তৈরি হচ্ছে রসনাবিলাস বাহারি সব মিষ্টান্ন।
দীর্ঘদিন ধরে কৌশলে ভয়ংকর এই অপকর্ম করে যাচ্ছে সিরাজগঞ্জ ও পাবনার প্রত্যন্ত অঞ্চলের একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট। এর মাধ্যমে তারা হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা।
এই দুধ ও দুগ্ধজাত মিষ্টি, ঘিসহ মিষ্টান্ন খেয়ে মারাত্মক সব রোগে আক্রান্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। প্রকাশ্য এই ভয়াবহ অবৈধ কর্মকাণ্ড চলে আসলেও অজ্ঞাত কারণে বিষয়টি নিয়ে প্রশাসন রয়েছে নির্বিকার।
অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, গা শিউরে ওঠার মতো ভয়ংকর এমন কর্মকাণ্ড হচ্ছে দেশের দুগ্ধ ভাণ্ডারখ্যাত সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া, শাহজাদপুর,পাবনার ফরিদপুর, ভাংগুড়া, সাঁথিয়াসহ বিভিন্ন উপজেলায়।
যমুনা টেলিভিশনের প্রতিবেদক গত ৪ মাস ধরে এসব এলাকায় কারবারিদের সঙ্গে কথা বলে অনুসন্ধান চালিয়ে এই ভয়াবহ কর্মকাণ্ডের তথ্যপ্রমাণ পান।
সরেজমিনে তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, দেশের গবাদিপশুসমৃদ্ধ সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া, শাহজাদপুর, পাবনার ফরিদপুর, ডেমরা, ভাংগুড়া, সাঁথিয়া উপজেলায় এখন ভয়ংকর নকল দুধের রমরমা ব্যবসা চলছে।
এই ভেজাল দুধ প্রক্রিয়াজাতকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, কারখানা। এসব কারখানায় চলছে নকল দুধের নানা কারবার।
এই ভেজাল দুধে নানা প্রক্রিয়ায় প্রক্রিয়াজাত করে তৈরি করা হচ্ছে ঘি, ছানা,প্যাকেটজাত দুধ। দেশের বাজারে দুগ্ধজাত পণ্যের ব্যাপক চাহিদা থাকায় এটি এখন শিল্পে পরিণত হয়েছে।
গবাদিপশু পালন ও তা থেকে দুগ্ধ উৎপাদন করে বিক্রি করে অনেক খামারি এবং বেকার যুবক-যুবতী স্বাবলম্বী হলেও হঠাৎ করে ভেজাল দুধ উৎপাদনকারী একটি সিন্ডিকেটের কারণে মুখ থুবড়ে পড়তে চলেছে এই শিল্প।
মাথার ঘাম পায়ে ফেলে খাঁটি দুগ্ধ উৎপাদনকারী খামারিদের এই সিন্ডিকেটের কারণে এখন পথে বসার উপক্রম হয়েছে।
দুধ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত একাধিক ফড়িয়া ব্যবসায়ী এবং খামারিদের সঙ্গে কথা বলে এবং সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রকাশ্য দিবালোকে তৈরি হচ্ছে ভেজাল দুধ। ফড়িয়া দুধ ব্যবসায়ী এবং কিছু দুধ থেকে ঘি ক্রিম, ছানা, দই-মিষ্টি উৎপাদনকারী কারখানার মালিক এসব অপকর্ম করছে।
তথ্যের সূত্র ধরে সরেজমিন যান এই প্রতিবেদক। উল্লাপাড়া উপজেলা শহর থেকে প্রায় ২৫ কিমি দূরের গ্রাম কালিয়াকৈড়ে। এই গ্রামটি গবাদিপশুসমৃদ্ধ। পশু পালন এবং তা থেকে দুগ্ধ উৎপাদন করে গ্রামের সিংহভাগ মানুষ জীবিকা নির্বাহ করে আসছে।
এই খামারিদের কাছ থেকে দুগ্ধ সংগ্রহের জন্য কাজ করছে প্রায় ১৫-১৬ জন ফড়িয়া ব্যবসায়ী। এই ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ভেজাল দুধ তৈরির অভিযোগ পাওয়া যায়।
সেই তথ্যের সূত্র ধরে বুধবার সকালে কালিয়াকৈড় গ্রামে ভেজাল দুধ তৈরির প্রক্রিয়ার দেখা মেলে। তাদের পরিচয় প্রকাশ করা হবে না নিশ্চিত করে এক ফড়িয়ার বাড়িতে কাকডাকা ভোরে হাজির হয় প্রতিবেদক। তিনি দেখালেন, ভেজাল দুধ তৈরির পুরো প্রক্রিয়া।
এই ফড়িয়া ব্যবসায়ী এমন ভেজাল দুধ তৈরিতে যা ব্যবহার করলেন তা দেখে চক্ষু ছানাবড়া। তিনি প্রথমে একটি বিলিন্ডার মেশিনে হাফ কেজি খাঁটি দুধ নিলেন। তার সঙ্গে পরিমাণ মতো ডিটারজেন্ট পাউডার, সোডা, হাফ কেজি সয়াবিন তেল, চিনি, স্যালাইন, লবণ, গুঁড়া দুধসহ বিভিন্ন মাত্রায় কেমিক্যাল মিশিয়ে ১৫ মিনিট বিলিন্ডার মেশিনে বিলিন্ডার করলেন।
বিলিন্ডার মেশিনে দুধের সঙ্গে সব কেমিক্যাল পদার্থগুলো ভালোভাবে মেশানো হয়। এভাবে আরও তিন দফায় তিনি এই কাজ করলেন। এরপর সব দুধ একটি পাতিলে ঢেলে তার সঙ্গে এক মণ সাদা পানি মিশিয়ে তৈরি করলেন ভেজাল দুধ। এভাবে এক মণ দুধ তৈরি করতে খরচ হচ্ছে প্রায় ২০০-২৫০ টাকা। আর তা বিক্রি করা হচ্ছে ১ হাজার ৬০০ টাকা।
যা তার উৎপাদন খরচের চেয়ে প্রায় সাত গুণ বেশি লাভ। তিন মণ ভালো দুধের সঙ্গে ১ মণ ভেজাল দুধ মিশিয়ে পুরোটাই ভালো দুধ দেখিয়ে সে সরবরাহ করছে নামিদামি বিভিন্ন দুধ ক্রয়কারী কোম্পানি, ঘি ক্রিম এবং ছানা তৈরি কারখানার কাছে। এভাবে তিনি প্রতিদিন প্রায় দুই মণ ভেজাল দুধ তৈরি করে ছয় মণ খাঁটি দুধের সঙ্গে বিক্রি করেন।
এদিকে এই ফড়িয়া ব্যবসায়ী আরেকজন ভেজাল দুধ তৈরিকারক ফড়িয়া ব্যবসায়ীর বাড়িতে নিয়ে গেলেন। সেই বাড়িতে যেতেই বাইরে থেকে বিলিন্ডার মেশিনের শব্দ পাওয়া গেল। অপরিচিত লোক দেখে তিনি ভয়ে ভড়কে গেলেন। সঙ্গে থাকা ফড়িয়ার কথায় আশ্বস্ত হয়ে তার ঘরে ঢুকে দেখা গেল তিনি দুটি বিলিন্ডার মেশিনের মাধ্যমে একই প্রক্রিয়ায় দুধ তৈরি করছেন।
এই দুই ব্যবসায়ী জানালেন, তাদের মতো এ গ্রামের সব ফড়িয়া ব্যবসায়ীই একই কর্ম করে। তাদের পাশের গ্রাম সুজা, চাচকিয়াসহ সব গ্রামের দুধ ব্যবসায়ীরাই এ কাজ করছে। আর তা নাকি সবারই জানা।
তাদের কাছ থেকে জানা গেলো, তারা গবাদিপশু পালকদের কাছ থেকে ৪০ টাকা দরে প্রতি লিটার দুধ কিনে আবার দুধের মিল কারখানায় একই দামে বিক্রি করেন। গ্রামপর্যায় থেকে ৪০ টাকা দামে দুধ কিনে মিল কারখানায় একই দামে দুধ বিক্রি এবং তাতে ভেজাল দেয়ার কথা নাকি তারাও জানে।
তারা আরও জানালেন, তাদের গ্রামের ব্যবসায়ীরা এই দুধ উল্লাপাড়ার দুগ্ধ শীতলীকরণ ক্রয়কেন্দ্র লাহিড়ীমোহনপুরের মিল্ক ভিটা, প্রাণ ডেইরি, ব্র্যাকের আড়ং ডেইরি, আকিজ ডেইরিসহ দুধের ক্রিম এবং ছানা তৈরির কারখানায় বিক্রি করেন।
এই ব্যবসায়ীরা বলেন, দুগ্ধ সংগ্রহ কেন্দ্রের কর্তাব্যক্তিদের ম্যানেজ করে ভেজাল দুধের লাভের একটা অংশ হাতে ধরিয়ে দিলেই তারা অন্য খামারিদের ভালো দুধের সঙ্গে এই দুধ মিশিয়ে দেয়। দুধের ঘনত্ব (ননির ফ্যাট) মেপে টাকা দেয়ায় অন্য খামারি এবং ব্যবসায়ীরা এই ভেজাল দুধের কারণে দুধের দাম কম পায়। কিন্তু ভেজালকারী এবং ক্রয় কেন্দ্রের কর্তাব্যক্তিরা এই ভেজাল দুধ ভালো দুধের সঙ্গে মিশিয়ে প্রতি মাসে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা।
অন্যদিকে এই জালিয়াতির কারণে ভালো দুধ দেয়া খামারি এবং ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এতে উচ্চমূল্যে গো-খাদ্য কিনে গবাদিপশুকে খাইয়ে দুধ উৎপাদন করে লাভবান হওয়ার পরিবর্তে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন খামারিরা।
দুধে ভেজাল দিয়ে তা নানা পন্থায় বিক্রি করে শূন্য থেকে রাতারাতি লাখ লাখ টাকার মালিক বনে গেছেন ফড়িয়া দুগ্ধ সংগ্রাহকরা। এই দুধ ক্রয়-বিক্রয়কে কেন্দ্র করে স্থানীয় পর্যায়ে একাধিক ফড়িয়া গ্রুপ গড়ে উঠেছে। আর তাদের আড়াল থেকে নিয়ন্ত্রণ করছে একাধিক ক্ষমতাসীন ব্যক্তি। সংঘবদ্ধ চক্রটি প্রচণ্ড শক্তিশালী। তারা টাকা পয়সা দিয়ে ফড়িয়া ব্যবসায়ীদের এই অবৈধ কর্মকাণ্ডে সহায়তা করছে। একাধিক ভেজাল দুধ তৈরি কারবারি এবং ঘি ছানা তৈরিকারী এ প্রতিবেদকের কাছে তাদের পরিচয় গোপন করে ভয়ংকর সব তথ্য দেন।
এদিকে এই ভেজাল দুধ যাচ্ছে ঘি ক্রিম ও ছানা তৈরি কারখানায়। এসব কারখানায় দুধের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
ব্যবসায়ীদের কথা সূত্র ধরে, মঙ্গলবার দুপুরে উল্লাপাড়ার লাহিড়ীমোহনপুর বাজারে ইসমাইল হোসেন নামের এক ব্যবসায়ীর কারখানায়।
সেখানে গিয়ে দেখা যায়, ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ভেজাল দুধ কিনে অস্বাস্থ্যকর নোংরা পরিবেশে ছানা ও ঘি ক্রিম তৈরি করা হচ্ছে।
কারখানাটির শ্রমিকরা বিড়ি টানছেন আর কাজ করছেন। দুধের ড্রাম ও ক্যানের ওপর মশা-মাছি বসে আছে। একাধিক দুধের ড্রামে নোংরা প্লাস্টিকের বোতলে ঠাণ্ডা পানি ভরে দুধ ঠাণ্ডা করা হচ্ছে।
কারখানাটির ভেতরে একাধিক ফ্রিজে পলিথিনে এসব দুধ থেকে তৈরি ছানা এবং ঘি ক্রিমবোঝাই করে রাখা হয়েছে।
প্রকাশ্য দুধের সঙ্গে এই কারখানায় চিনি এবং গুঁড়া দুধ মিশিয়ে ছানা এবং ঘি ক্রিম তৈরি করা হচ্ছে। কারখানাঘেঁষে টয়লেট স্থাপন করা হয়েছে।
এই কারখানার মালিক বেলকুচি উপজেলার মো. ইসমাইল হোসেন তার কারখানা নিয়ে কোনো প্রতিবেদন না করতে নানাভাবে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন এবং কয়েকজন প্রভাবশালীকে দিয়ে ফোন করে চাপ প্রয়োগ করেন প্রতিবেদককে।
এদিকে তার মতো লাহিড়ীমোহনপুর বাল্লপাড়া গ্রামে রাতে ঘি এবং ছানা তৈরি করছেন সমিরন ঘোষ, মোহনপুর বাজারের রঞ্জন ঘোষ।
অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা রঞ্জন ঘোষ ঘি ক্রিম কিনে এনে ঘি তৈরি করে চট্টগ্রামসহ সারা দেশে বাজারজাত করছে। এর আগে তার ঘি কারখানায় র্যাব ১২ ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালিয়ে স্ক্যান্ডেল ওয়েলসহ ক্ষতিকারক পদার্থ দিয়ে ঘি তৈরির অপরাধে তাকে জরিমানা ও ভেজাল ঘি ড্রেনে ফেলে দেয়। সে আবারও একই কর্ম করছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন। এই রঞ্জন ঘোষ ক্ষমতাসীন দলের কর্মী বলে প্রভাব বিস্তার করে এমন কাজ করছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় ব্যবসায়ী জানান।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উল্লাপাড়া, শাহজাদপুরের পোরজোনা, কায়েকপুর, বাঘাবাড়ি চরা চিথুলিয়া, বেড়ার আমাইকোলা, সাঁথিয়ার সেলন্দা, ফরিদপুরের ডেমরা, পার গোপালপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় অসংখ্য কারখানা গড়ে তুলে সেখানে এই ভেজাল দুধ দিয়ে ঘি ক্রিম এবং ছানা তৈরি করা হচ্ছে।
একই সঙ্গে এই দুধ বিভিন্ন নামিদামি কোম্পানির কাছে তাদের ম্যানেজ করে বিক্রি করা হচ্ছে। তারা এসব দুধ কিনে প্যাকেটজাত করে দেশের বাজারে বিক্রি করছেন। সাধারণ মানুষ ভালো দুধ মনে করে তা কিনে খাচ্ছে।
উল্লাপাড়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে এই ভেজাল দুধ, ছানা, ঘি ক্রিম তৈরি করে ফড়িয়া ব্যবসায়ীরা প্রতিদিন নিজস্ব বাস, ট্রাক ট্রেনযোগে উত্তরাঞ্চলসহ ঢাকার একাধিক অভিজাত হোটেল রেস্তোরাঁ এবং ঘোষবাড়িতে বিক্রি করছেন।
নামকরা অভিজাত হোটেলের শীতাতপ নিয়ন্ত্রণকক্ষে বসে তৃপ্তির সঙ্গে যে দই মিষ্টান্ন সবাই খাচ্ছে তা বিষে ভরা। ভালো জিনিসের নামে অভিজাত মানুষজন নিজের অজান্তেই দীর্ঘদিন ধরে এসব খেয়ে যাচ্ছে।
নিজেদের উৎপাদিত পণ্য বলে প্রচার করলেও এসব অভিজাত হোটেল রেস্তোরাঁয় ভেজাল দুধের ছানা কিনেই তা তৈরি করছে।
উল্লাপাড়ার কয়ড়া, মোহনপুর এলাকার একাধিক ব্যবসায়ী এ ব্যবসা করে শূন্য থেকে কোটি কোটি টাকা এবং আলিশান বাড়ি-গাড়ির মালিক বনে গেছেন।
এসব অসাধু ব্যবসায়ীর কারণে গবাদিপশুর মালিকরা পথে যাচ্ছে। আর সুনাম হারাচ্ছে এ জনপথের প্রসিদ্ধ দুগ্ধ সম্পদ।
একাধিক খামারি এবং পশু মালিক দ্রুত এসব ভেজাল ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান।
বিশেষজ্ঞরা জানান, কেমিক্যাল মেশানো এই দুধ ও তার তৈরি মিষ্টান্ন খেয়ে সাধারণ মানুষ মারাত্মক সব রোগে ভুগছেন। তারা সাধারণ মানুষকে রক্ষা করতে দ্রুত এই ভেজাল দুধের কারবার বন্ধের কথা জানান।
ভেজাল দুধ নেয়ার বিষয়ে বুধবার সকালে মিল্ক ভিটার লাহিড়ীমোহনপুর কেন্দ্রের ম্যানেজার মো. শরিফ উদ্দিন জানান, মিল্ক ভিটায় কোনো ভেজাল ও নিম্নমানের দুধ নেয়া হয় না। তাছাড়া এখানে কেউ সিন্ডিকেট করে নিম্নমানের দুধ দেয়ার সুযোগ নেই। বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে এখানে দুধ নেয়া হয়।
এদিকে আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজ (এফবিএএল) লি. মোহনপুর শাখার ম্যানেজার আব্দুল কাদের জানান, তারা প্রতিদিন এই শাখায় ৩ হাজার ২০০ লিটার দুধ নিয়ে থাকেন। তিনি বলেন, এখানে পরীক্ষার মাধ্যমে দুধ নেয়া হয় বলে কোনো ভেজাল দুধ নেয়ার সুযোগ নেই।
ভয়ংকর এই ভেজাল দুধ ব্যবসা প্রসঙ্গে উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুজ্জামানের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি জানান, এই চক্রের বিরুদ্ধে মাঠে নামা হবে। এদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। আর কাউকে এই কর্মকাণ্ড করতে দেয়া হবে না।