সেলিনা জাহান প্রিয়ার কবিতা-সূর্যাহত বালিকা
সূর্যাহত বালিকা
সেলিনা জাহান প্রিয়া
আলোর ঝরনা ধারায় দেখি স্বপ্নেরা করে খেলা
এলোমেলো চুলে বালিকা হেঁটে যায় কাঁচা পথে একা
বালিকা পাদুকা ছিলনা কোন কালে তবু নুপুর বাজে
কালো চুলে রোদ যেন মেঘের ঢেউ আচরে পড়ে
বেতাল হাওয়া এসে বালিকার চুলে ছবি আঁকে
একমুঠো রোদ্দুর বালিয়ার ছেলে বেলা চেয়ে দেখে ।
রাখাল দিশেহারা বালিকার চলন বলনে
অবুঝ বালিকা নেমে পড়ে শান্ত ঝিলের জলে
শাপলা ফুলের মালা গলায় জরিয়ে আকাশ দেখে
থই থই দুপুরের রোদ্দুর বালিকার সর্বাঙ্গে ঝরে পড়ে।
চুঁইয়ে, চুঁইয়ে আলো গড়ায় বালিকার অবুঝ মনে
রাখাল চেয়ে হাসে বাঁশি তাঁর সুর ভুলে তাকায়
বালিকার চুলে চোখে মুখে লাজুক মনে পালায়
রৌদ্রের ঝরনাধারায় দুহাত উপরে তুলে বালিকা
শাপলার মালা জারই বৃক্ষের তলে রয়ে যায় ।
বালিকা আসে নীরব বিকালে হিজল তমাল তলে
রাখাল শাপলার মালা তাঁর দেয় ফিরিয়ে ।।
বিশ্বাসে দাও রোদ্দুর প্রেমে আলো দাও মনে
রাখাল তাঁর বাঁশির সুরে আলো দেয় গান ভরিয়ে।
মেঘের আড়ালে চলে যায় চাঁদ জীবনের প্রভাতে
বুকের বেদনা টুকরো দু:খ সব লাগে বিস্বাদে
রাতের আকাশ বালিকার মনে মেঘ ভাসে
রাখাল হাঁড়ায় কোন অজানায় কে জানে
হাহাকার শুনে সত্যি অর্থহীন মানব জীবন
রাখাল সিদ্ধার্থের মতো চলে যায় ঠিকানা হীন
বালিকা হতে পারে না সিদ্ধার্থের মত গৃহত্যাগী,
যখন পুরোনো দু:খের তোড়ে ভেসে যায় নতুন
তখন থাকে শুধু প্রিয় মাটির শরীরে বৃষ্টির ঘ্রান ।
হঠাৎ আঘাত করে রোদ্দুর বালিকার ঘরে
সূর্যাহত বালিকা চিবুক চুঁইয়ে ঢোকে রুপালী আলো
রাখাল তো দেখি সত্যি রাজপুত্র ।।
অতি জাগতিক নিয়মে বালিকা হয়ে উঠি রানি ।।