সোনালী কাবিনের কবি এবং আমি !
সোনালী কাবিনের কবি এবং আমি !
– সাকিব জামাল
মাকে ভালোবাসতাম । মায়ের আদর, ভালোবাসাকে ভালোবাসতাম ।
মায়ের নোলক এর প্রতি ভালোবাসা শেখালে তুমি !
এরপর থেকে- মায়ের নোলক, চুড়ি, শাড়ি, নুপুর- সবকিছুতে মায়ের ছোঁয়া পাই ।
এখন মায়ের প্রতি ভালোবাসার পূর্ণাঙ্গরূপ আমার -বীজ বপনের এ কৃতিত্বটুকু তুমিই নাও, হে সোনালী কাবিনের কবি!
প্রেমিকাকেও ভালোবাসতাম । প্রেমিকার রূপ, যৌবন ভালোবাসতাম ।
দেহের অধিক ভালোবাসতে শেখালে তুমি ।
এরপর থেকে- জীবনের সাথে জীবনে জড়িয়ে একক আত্মা প্রেমিকা ।
এখন আত্মবিক্রয় না করতে শেখানোর চেতনা আমার – এ কৃতিত্বটুকু তুমিই নাও, হে সোনালী কাবিনের কবি !
প্রকৃতিকেও ভালোবাসতাম । শহুরে যান্ত্রিক ক্লান্ত মনে যতটুকু পারতাম ।
পাখির কাছে, ফুলের কাছে মনের কথা বলতে শেখালে তুমি ।
এরপর থেকে- প্রকৃতির যাদুতে ডুবে থাকি বেশ ।
এখন সতেজ প্রকৃতির সবুজ প্রেমিক আমি- এ কৃতিত্বটুকু তুমিই নাও, হে সোনালী কাবিনের কবি !
সত্যকথনও ভালোবাসতাম । বৃত্ত বন্দি থেকে সবাই যেমন বাসে!
তবে মিথ্যের বেসাতির বিরুদ্ধে আমার সাহস বাড়ালে তুমি-
যখন পরন্ত বিকেল বলে দিলে তুমি দরবেশ, রাজনৈতিক নও ! কি সাংঘাতিক !
এরপর থেকে- সিদ্ধান্ত পাকা ! কবিতায় দুর্বৃত্তায়ন, কবিকে নিয়ে মিথ্যাচার বন্ধ করতে হবে ।
এখন সত্যকথা দীপ্ত কন্ঠে বলার উৎসাহের তেজ ভরা মনে আমার- এ কৃতিত্বটুকু তুমিই নাও, হে সোনালী কাবিনের কবি !
উৎসর্গ : কবি আল মাহমুদকে ।