সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহা সমাবেশ করবে বিএনপি
অনলাইন ডেস্ক । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আগামী ৭ নভেম্বর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির সমাবেশ পিছিয়ে ১১ নভেম্বর করার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।
সোমবার (৬ অক্টোবর) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারী এ্যাসোসিয়েশনের সভা চলার কারণে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিতব্য আমাদের কর্মসূচি পিছিয়ে ১১ নভেম্বর ২০১৭ শনিবার ধার্য করা হয়েছে। সেদিন মহা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।’
রিজভী বলেন, রাজনৈতিক কোন কর্মসূচি না থাকলেও বিএনপির সাম্প্রতিক বিভিন্ন কমূসুচিতে মানুষের ঢল দেখে ভীত হয়ে আবার দেশব্যাপী গণগ্রেফতার শুরু করেছে ভোটারবিহীন সরকার। প্রতিদিন কোন না কোন জেলার কিংবা উপজেলায় মামলা ছাড়াই নেতা-কর্মীদের আটক করে পরে মিথ্যা মামলা দায়ের করে নেতা-কর্মীদের কারাগারে প্রেরণের হিড়িক চলছে। সত্যিকারার্থে বর্তমান সরকারের দুঃশাসনে জনগণ অতিষ্ট বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া চিকিৎসা শেষে লন্ডন থেকে ফেরার পর বিমানবন্দরে চেয়ারপারসনকে অভ্যর্থনা জানাতে জনতার ঢল নেমেছিল উল্লেখ করে বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, তিনি রোহিঙ্গাদের ত্রাণ সহায়তা দিতে ও সহমর্মিতা জানাতে উখিয়া গেলে গোটা সড়কে লাখ লাখ মানুষ সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে বিপুল অভ্যর্থনা দেয়। জেলায় জেলায় বিএনপি ঘোষিত সম্প্রতি বিভিন্ন বিক্ষোভ কর্মসুচিতে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে অংশ নেন সাধারণ মানুষ। মূলত: বর্তমান সরকার জনগনের ভোটে নির্বাচিত নয় বলে জনতার ঢল দেখলে ভয়ে কাতর হয়ে পড়ে। তাই সরকারের নির্দেশে দেশব্যাপি বিনাকারণে আবারও গণগ্রেফতার শুরু করেছে পুলিশ।
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দলের মন্ত্রী-নেতারা সরকারী গাড়ীতে চড়ে শরীরে হাওয়া লাগিয়ে ঘুৃরে বেড়ার কারণে ক্ষুদ্ধ ক্রুদ্ধ জনগণের মনের অবস্থা বুঝতে অক্ষম। জনগণের ঢল যেকোন মূহুর্তেই জনধিকৃত সরকারের মসনদকে উল্টে দিতে পারে সেটি অনুধাবন করতে ব্যর্থ মন্ত্রীরা। কারণ ক্ষমতার ঝাড়বাতির আলোয় মন্ত্রীদের চোখ এখন ঝাপসা হয়ে গেছে। ঠান্ডা ঘরে পুলিশের নিরাপত্তা বেষ্টনির মধ্যে বসে থেকে বয়ে যাওয়া গণবিক্ষোভের জোরালো বাতাস গায়ে না লাগাই স্বাভাবিক।
বাংলাদেশ এখন অগ্নিগর্ভ। আইন শৃঙ্খলার নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি, বিদ্যূৎ, খাবার পানি, গ্যাসের তীব্র সংকট, শিল্পোৎপাদনের বিপর্যয়, মূল্যস্ফীতির দৈনন্দিন চাপ, শ্বাসরুদ্ধকর যানযট, সর্বস্তরে চাঁদাবাজী, জবরদখল, গুম ও খুনের ভয়, রক্তপাত, জোর করে মানুষের নিকট থেকে চাঁদা আদায়ের দাপট, বেঘোরে জীবনহানির এক মহাদুর্যোগ চলছে দেশে। এই মহাদুর্যোগ বিরাজমান বলেই যেকোন মূহুর্তে গণঅভ্যুত্থান অবশ্যম্ভাবী বলেও হুশিয়ারি উচ্চারন করেন তিনি।
উল্লেখ, ৭ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাছে অনুমতি চাইলে। ওই দিন বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি দেয়নি ডিএমপি। যদিও এই পরিস্থিতিতেই আগামী ১১ নভেম্বর সমাবেশ পালনে এরই মধ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি চালাচ্ছে বিএনপি।