স্বাধীনতার মহান ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান
সম্পাদকীয় ডেস্ক । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডি.কম
২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানী শাসকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য মেজর জিয়াউর রহমান আনুষ্ঠানিকভাবে বাঙালিদের আহবান জানান, বা স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। এই ঘোষণা ঐ দিন বেশ কয়েকবার সম্প্রচার মাধ্যমগুলোতে প্রচারিত হয়।
মেজর জিয়ার সেই ঐতিহাসিক ঘোষণার পর নিরস্ত্র বাঙালি দলে দলে মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করেন। একই বছর ১৬ই ডিসেম্বর স্বাধীনতা লাভের মধ্য দিয়ে পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামক নতুন একটি দেশ আত্মপ্রকাশ করে। তখন থেকেই প্রতি বছর মার্চ মাসের এই দিন স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। আজকের এই দিনে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরন করছি সফল রাষ্ট্রনায়ক শহীদ জিয়াউর রহমানসহ সকল শহীদদের।
২৫ মার্চের কালরাত্রিতে পাকিস্তানের হানাদার বাহিনী যখন এদেশের অপ্রস্তুত, অসংগঠিত ও নিরস্ত্র জনগণের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তখন ভীত-সন্ত্রস্ত, হতবুদ্ধি রক্তাক্ত বাংলাদেশের ঈশান কোণে আবির্ভুত হয়ে গর্জে ওঠেন সময়ের সাহসী সন্তান জিয়াউর রহমান। চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে ইথারের স্রোতে স্রোতে ভেসে আসে এক দৃঢ় কন্ঠস্বর- ‘‘I Major Zia as supreme commander of Bangladesh liberation force and provisional head of the government do hereby declare the independence of Bangladesh” (আমি মেজর জিয়া বাংলাদেশের লিবারেশন ফোর্সের সুপ্রীম কমান্ডার ও প্রভিশনাল রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করছি)।
এবং দ্বিতীয় বার তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষ থেকে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা পত্র পাঠ করেন(On behalf of our great national leader, supreme commander of Bangladesh Sheikh Mujibur Rahman do hereby proclaim the independence of Bangladesh)।
তাঁর স্বাধীনতার ঘোষণা এদেশের দিশেহারা জনগণকে দেয় সঠিক নেতৃত্ব এবং সর্বস্তরের মানুষকে স্বাধীনতাযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণে অনুপ্রেরণা যোগায়। সেক্টর কমান্ডার এবং ‘জেড ফোর্স’ এর অধিনায়ক হিসেবে তিনি দির্ঘ নয় মাস সম্মুখসমরে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন এবং সর্বস্তরের জনগণকে দিকনির্দেশনা দিয়ে দেশের স্বাধীনতা অর্জন করেন।
তিনি শুধু স্বাধীনতার ঘোষণাই দেননি, যুদ্ধ সংগঠিত করেছেন, নেতৃত্ব দিয়েছেন। নিজে বীরের মতো যুদ্ধ করেছেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে জেড ফোর্সের ভূমিকা ও অবদান কোনোদিন ম্লান হওয়ার নয়।
মাহবুব এইচ শাহীন/প্রকাশক ও সম্পাদক/কাগজ২৪