থানায় এসে স্ত্রী বললেন ‘স্বামীকে খুন করে ঘরে তালা দিয়ে এসেছি’
বিশেষ প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডি.কম
স্বামী হত্যার এমন সরল স্বীকারোক্তিতে থমকে যান পুলিশ কর্মকর্তা। এরপরই শুরু হয় তোলপাড়। অবশেষে ওই নারীকে আটক করে বাড্ডার আদর্শ নগরের ভাড়া বাসা থেকে উদ্ধার করা হয় ফজল শেখের (৪৭) মরদেহ।
চন্দ্রা বানু বলেন, আমি ফজল শেখের প্রথম স্ত্রী। আমার স্বামী রুমি নামের একটি মেয়েকে বিয়ে করেছে। এ ঘটনা নিয়ে বুধবার রাতভর ঝগড়া হয় আমাদের। ভোরের দিকে স্বামী ঘুমিয়ে গেলে দা দিয়ে তার পুরুষাঙ্গ কেটে শিল-পাটা দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করি।
পুলিশ কর্মকর্তা আবদুল কাদের বলেন, আদর্শ নগরের একটি টিনশেড বাড়িতে দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন ফজল শেখ। ওই বাসাতেই হত্যাকাণ্ড ঘটে। পাশেই ভাড়া বাসায় থাকতেন চন্দ্রা বানু। তার কাছ থেকে ঘরের চাবি নিয়ে তালা খুলে বিছানার ওপর কাথা মোড়ানো ফজল মিয়ার রক্তাক্ত মৃতদেহ পাওয়া যায়। শিল-পাটার আঘাতে তার মাথা পুরো থেতলে গেছে। পুরুষাঙ্গও বিচ্ছিন্ন অবস্থায় চন্দ্রা বানুর কাছ থেকে জব্দ করা হয়েছে।
চন্দ্রা বানুকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা আবদুল কাদের। তিনি জানান, নিহত ফজল শেখ রিকশা চালিয়ে সংসার চালাতেন।
বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল জলিল জানান, ঘটনার সময় ফজল শেখের দ্বিতীয় স্ত্রী রুমি বেড়াতে গিয়েছিলেন। ওই খবরেই প্রথম স্ত্রী চন্দ্রা বানু বাসায় গিয়ে স্বামীর সঙ্গে রাতভর ঝগড়া করেন।
তিনি আরও জানান, চন্দ্রা বানুর ভাষ্য অনুযায়ী, প্রথম সংসারে তিনটি সন্তান থাকলেও ফজল শেখ তার কোনো খোঁজ নিতেন না। দুই স্ত্রী রেখে তিনি আরও একটি বিয়ে করেন। এমন খবরে তাদের পারিবারিক কলহ ভয়াবহ রূপ নেয়। এর জেরেই চন্দ্রা বানু ক্ষিপ্ত তার স্বামীকে হত্যা করেন।
ওসি বলেন, চন্দ্রা বানুই যে তার স্বামীকে খুন করেছেন তা নানা আলামতে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ ছাড়া অন্যদের বক্তব্য যাচাই করা হচ্ছে। দ্বিতীয় স্ত্রীকে খবর দেওয়া হয়েছে। ফজল শেখ তৃতীয় বিয়ে করেছিলেন কিনা-তা জানার চেষ্টা চলছে।