টাঙ্গাইলের সখীপুরে স্বামীর পরকীয়ার কারনে স্ত্রীকে জোড়পূর্বক ডিভোর্স
মো. রাশেদ খান মেনন (রাসেল), টাঙ্গাইল, বিশেষ প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
টাঙ্গাইলে সখীপুর উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়নের বাঘেরবাড়ি গ্রামের গৃহবধু মুক্তাকে জোড়পূর্বক ডিভোর্স করানোর অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনার বিবরনে জানাযায়, প্রায় ৫ বছর পূর্বে সখীপুর উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়নের বাঘেরবাড়ি গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে সাব্বির আহমেদের সাথে কাকড়াজান ইউনিয়নের ছোট চওনা গ্রামের মুক্তার হোসেনের মেয়ে মুক্তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের ঔরশে এক সন্তান জন্মগ্রহন করে। সুখেই কাটছিল তাদের জীবন। মুক্তার স্বামী সাব্বির ধীরে ধীরে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পরে। এরপর থেকেই বাড়তে থাকে স্ত্রী মুক্তার উপর শারিরিক ও মানসিক নির্যাতন। এক পর্যায়ে ছাব্বির তার স্ত্রী ও ৩ বছরের শিশুসন্তানকে জোড়পূর্বক বাড়ি থেকে বের করে দেয়। কৌশলে ডিভোর্সের কাগজ পাঠায়। এ বিষয়ে মুক্তা ইউপি সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট এলাকার মাতব্বদের কাছে বিচার প্রার্তনা করে ব্যার্থ হয়। অবশেষে ইউপি চেয়ারম্যান ও গ্রাম্য মাতাব্বরদের সহযোগীতায় সম্প্রতি গ্রাম্য সালিসে জোড়পূর্বক কিছু টাকা দিয়ে পুনরায় ডিভোর্স করানো হয় মুক্তাকে।
মুক্তার বোন এ বিষয়ে বলে সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে স্বামীর অনেক অত্যাচার সহ্য করেও আমার বোন সংসার করতে চেয়েছিল। কিন্তু স্বামী তাকে ছেলে সহ বাড়ি থেকে বের করে দেয় আর ডিভোর্স দিয়ে দেয়। এই শিশু সন্তান নিয়ে একটা অসহায় মেয়ে কোথায় যাবে? পরকীয়ার জন্য যে নিজের সন্তান কে ফেলে দেয় এমন বাবা আর স্বামীর কি শাস্তি হওয়া উচিত না? শিশুটির ও তার মায়ের কষ্টের কথা সবার জানা দরকার তাতে যদি মানুষের মনুষ্যত্ব জাগে। সাব্বিরের বড় ভাই আফ্রিকা থাকে, বড় ভাবীর সাথে অবৈধ সম্পর্কের কারনে ৩ বছরের ছোট ছেলে সহ বউকে বাপের বাড়ি পাঠিয়ে ডিভোর্স লেটার পাঠায়। ২ বছর ধরে বউ এর ঘরে ঘুমায় না বললে বউকে মারধর করত। ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এর কাছে বিচার দেয়। জোড়পূর্বক এই ডিভোর্স করাতে চেয়ারম্যান ও সখিপুরের নেতা কাজী বাদল সহ আরও কয়েকজন মিলে সাব্বিরের কাছ থেকে কয়েক লক্ষ টাকা নিয়েছে।
মুক্তার পরিবারের একটিই চাওয়া এভাবে যেন আর কারও সংসার নষ্ট না হয়।
কাগজটুয়েন্টিফোর বিডি ডটকম এ প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।