সামান্য পুঁজিকে সম্বল করে জীবদ্দশায় শিল্প বাণিজ্যে এক কিংবদন্তীর নাম স্যামসন এইচ চৌধুরী
বিশেষ প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডি.কম
সততা, মেধা, নিষ্ঠা আর পরিশ্রমের মাধ্যমেই সামান্য পুঁজিকে সম্বল করে প্রয়াত স্যামসন এইচ চৌধুরী তার জীবদ্দশায় দেশের শিল্প-বাণিজ্য ক্ষেত্রে কিংবদন্তীতে পরিণত হয়েছিলেন। সাফল্যের কোনো শর্টকাট নাই আর সততা ছাড়া সফলতা আসে না এটাই ছিলো প্রয়াত স্যামসন এইচ চৌধুরীর সফলতার মূলমন্ত্র। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় স্কয়ার গ্রুপের প্রয়াত চেয়ারম্যান স্যামসন এইচ চৌধুরীর পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী পালন উপলক্ষে পাবনা প্রেসকাব আয়োজিত স্মরণসভায় বক্তারা একথা বলেন।
প্রেসকাব সভাপতি প্রফেসর শিবজিত নাগের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্মরণসভায় স্যামসন চৌধুরীর জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করে বক্তব্য দেন স্যামসন এইচ চৌধুরীর সন্তান ও পাবনা প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু, পাবনা সদর আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স, জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান রেজাউল রহিম লাল, পাবনা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারমান মোশাররফ হোসেন, পাবনার পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির পিপিএম, বীর মুক্তিযোদ্ধা বেবী ইসলাম, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর মো. কামরুজ্জামান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের কমান্ডার হাবিবুর রহমান হাবিব, প্রেসক্লাব সম্পাদক আঁখিনূর ইসলাম রেমন প্রমুখ। সভা সঞ্চালন করেন ক্লাবের সিনিয়র সহ সভাপতি কামাল আহমেদ সিদ্দিকী।
বক্তারা স্মৃতিচারণ করে বলেন, একজন সফল শিল্পোদ্যক্তার পাশাপাশি দেশের প্রতি অসাধারন প্রেম ছিলো প্রয়াত স্যামসন এইচ চৌধুরীর। মাহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি নিজ সন্তানদের মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেয়ার জন্য ভারতে প্রশিক্ষনে পাঠিয়েছিলেন। তার স্কয়ারের ঔষধ তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য পাঠিয়ে দিতেন। যুদ্ধ পরবর্তী বাংলাদেশে প্রথম বিদেশী সহযোগিতা এসেছিলো প্রয়াত স্যামসন এইচ চৌধুরীর অক্লান্ত চেষ্টা আর যোগাযোগের কারনেই। কোনো সরকারী পদে না থাকলেও তার মৃত্যুর পর জাতীয় সংসদের ও মন্ত্রী পরিষদ সভায় শোক প্রস্তাব আনা হয়েছিলো।
প্রয়াত স্যামসন এইচ চৌধুরীর ছেলে অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু তার বক্তব্যে বলেন, “ বাবা তার জীবদ্দশায় কখনো নিজের কথা প্রচার করতেন না। তার দ্বারা বহু মানুষ উপকৃত হয়েছেন। তার বহু গুণের কথা আমরা জেনেছি তার মৃত্যুর পর। তার মৃত্যু সংবাদ জেনে দেশে ও দেশের বাইরে থেকে বহু মানুষ আমাদের কাছে এসেছেন। তাদের অনেককেই আমরা চিনি না। তারা জানিয়েছেন বাবা কিভাবে তাদেরকে সহযোগিতা করেছিলেন। বাবার আদর্শ থেকেই আমরা সততার সাথে ব্যবসা পরিচালনা করা শিখেছি। আর এই সততাই স্কয়ার গ্রুপের সফলতার মূল মন্ত্র”।