চিরিরবন্দরের পর এবার খানসামায় হনুমান দেখতে জনতার ঢল।

দিনাজপুর প্রতিনিধি  । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম

দিনাজপুরের খানসামায় হনুমান দেখতে জনতার ঢল নেমেছে। চিরিরবন্দর উপজেলায় সফরের পর কয়েকদিন যাবত হনুমানটি খানসামার বিভিন্ন জায়গায় দেখা যাচ্ছে। গত সপ্তাহে হনুমানটি  খানসামা উপজেলা চত্বরে দেখা যায়। এরপর ডাঙ্গার হাট, বলরাম বাজার, দূহশুহ চৌধুরী পাড়া সর্বোপরি আজ ২৬ জুন ঈদের দিন পাকেরহাটে অবস্থান করছে। সরেজমিনে দেখা যায়, পাকেরহাটের প্রধান রাস্তার পশ্চিম পাশে ব্যবসায়ী নিমাই’র উঠোনে ৩/৪ ঘন্টা অবধি একটি গাছে এটি অবস্থান করছিলো। রাস্তার উভয় পাশে জনতার ঢল নেমেছে এবং আরো দেখা গেলো নিমাই’র বড় ছেলে ভ্যান, সাইকেল, অটো, মোটরবাইক গুলোকে উক্ত স্থান থেকে দূরে রাখার জন্য বলছে। মনে হচ্ছিল যেন ঈদে উপলক্ষ্যে মেলায় ছোট ছেলে মেয়েসহ বিভিন্ন বয়সী নারী পুরুষ মিলিত হয়েছে।নিমাই’র পতিত উঠোনটিতে দেখা গেল হনুমানটি দেখতে উৎসুক জনতা উপচে পড়া ভীড় করছে। উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে নারী-পুরুষ, ছোট ছেলে-মেয়েরা ছুটে আসছে একনজর হনুমানের দেখা পেতে। ভীড় ঠেলে দেখা গেল, হনুমানটি জড়সড় হয়ে একটি ছোট পাকুর গাছের ডালে বসে আছে। ঠিক তিন আগে এর দেখা মিলেছিল দুহশুহ চৌধুরী পাড়ার একটি উচু কদম গাছে। সেখানেও কাদা পানি ঠেলে শতশত জনতা ভীড় জমিয়েছিল। জনৈক হিন্দু মহিলাকে হনুমান দেখতে আসার কারন জিজ্ঞাসা করলে জানান, হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা হনুমানকে রামের একনিষ্ঠ ভক্ত মনে করে। তারা মনে করছে কলি যুগে যখন চারিদিকে বিভিন্ন অন্যায়-অত্যাচার, পাপাচারে জর্জরিত তখন ভগবান শ্রীরাম হয়তো তার প্রধান ভক্ত হনুমানকে এ জগতে প্রেরণ করছেন। উৎসুক জনতার মধ্যে কয়েকজন হনুমান দেখতে আসা প্রত্যক্ষদর্শীর সাথে কথা হলে জানা যায়, খানসামায় হনুমান আসছে শুনে তারা একনজর হনুমানকে দেখতে এসেছে ছাতিয়ানগড়, গাড়পাড়া, গোয়ালডিহি, টংগুয়া থেকে। তাদের এর আগে হনুমান দেখা বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তারা জানায়, আমরা হনুমান দেখিনি তাই একবার সরসরি হনুমান দেখতে এসেছি। কেউ কেউ বলে, এর আগে ডিসকভারি, ন্যাশনাল জিওগ্রাফি চ্যানেলে হনুমান দেখেছে।
হনুমানটিকে দেখার এক পর্যায়ে কিছু দুষ্ট ছেলের উৎপাতে ওই গাছ ছেড়ে দক্ষিণ দিকে স্বপন মেকারের বাড়ীর দিকে আশ্রয় নেয়। কয়েকজন প্রকৃতিপ্রেমি সচেতন ব্যাক্তি জানায়, এভাবে হয়তো উন্মুক্ত হনুমানটি থাকলে দুষ্ট লোকেরা ধরে ফেলবে এবং পাচার করে দিতে পারে। কেউ হয়তো উৎসাহী হয়ে এই নিরীহ পশুটিকে মেরে ফেলবে। তাই পশুটি অভয়াশ্রমের জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।


  • কাগজটুয়েন্টিফোর বিডি ডটকম এ প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!