নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে আলিম ২১ পরীক্ষার্থী নিরুপায়
সনৎ কুমার রায়, নীলফামারী প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় চলতি আলিম পরীক্ষায় বড়ভিটা এ ইউ বহুমুখী ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ অহিদুল ইসলামের ভুলে ওই মাদ্রাসার ২১ পরীক্ষার্থী বুধবার অনুষ্ঠিত পেীরনীতি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি। শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নিতে না পেরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছে।
অভিযোগ ও শিক্ষাথীদের কাছ থেকে জানা গেছে, চলতি আলিম পরীক্ষায় বড়ভিটা এ ইউ বহুমুখি ফাজিল মাদ্রাসা থেকে এবারের আলিম পরীক্ষায় ২১ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে। পরীক্ষায় অংশগ্রহন করার আগে প্রবেশ পত্র নেওয়ার সময় পরীক্ষার্থীরা তাদের প্রবেশপত্রে দেখতে পায় প্রবেশপত্রে তাদের পেীরনীতি বিষয়ের কোড নম্বর উল্লেখ নেই। কোড নম্বর উল্লেখ না থাকার বিষয়টি পরীক্ষাথীরা অধ্যক্ষকে জানালে তিনি কোড নম্বর সংশোধন করার জন্য প্রত্যেক পরীক্ষার্থীদের কাছে ১৬০০ করে মোট ৩৩ হাজার ৬০০ টাকা নিয়ে তাদেরকে পরীক্ষা দিতে বলে। পরীক্ষা চলাকালিন সময়ে অধ্যক্ষ তাদের কোড নম্বর সংশোধন করতে না পারায় পরীক্ষার্থীরা ২৬-৪-১৭ ইং তারিখে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় অংশ নিতে না পারায় তাদের জীবন থেকে একটি বছর পিছিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছে।
পরীক্ষা দিতে না পাড়া ছাত্রী শাহনাজ বেগম রোল নম্বর ১৩৪৬৬৮, রাফিজা রোল নম্বর ১৩৪৬৬৫, ফাতেমা রোল নম্বর ১৩৪৬৭০, নুরন্নবী রোল নম্বর ১৩৪৬৮২ ও আশামনি রোল নম্বর ১৩৪৬৭৬ তারা সকলেই বলেন, অধ্যক্ষ স্যারের ভুলের কারনে আমরা পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতে না পারার কারনে আমাদের একটি বছর পিছিয়ে যাবে।
এ ব্যাপারে মুঠোফোনে কথা বললে বড়ভিটা এ ইউ বহুমুখী ফাজিল মাদ্রসার অধ্যক্ষ অহিদুল ইসলাম পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্রে পেীরনীতি বিষয়ের কোড নম্বর না থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, পেীরনীতি বিষয়টি তাদের অপসনাল বিষয়। এ বিষয়ের পরীক্ষা না দিলে তাদের কোন ক্ষতি হবেনা। তাহলে প্রতিজন পরীক্ষার্থীদের কাছে সংশোধনের নামে ১৬০০ করে টাকা নিলেন কেন প্রশ্ন করলে তিনি মুঠোফোনের লাইনটি কেটে দেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মেহেদী হাসান অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, এ বিষয়ে আমার করার কিছুই নেই। তাদেরকে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে অভিযোগ করতে বলেন।