৪ বছর পর লাইজুর মরদেহ হস্তান্তর
এস কে রায়, নীলফামারী প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
ধর্মান্তরিত হওয়া নীলফামারীর হোসনে আরা লাইজু (নিপা রানী) মরদেহ হস্তান্তর।
আজ সকালে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ধর্মান্তরিত হওয়া নীলফামারীর হোসনে আরা লাইজু (নিপা রানী)’র মরদেহ ইসলামি ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী দাফনের নির্দেশ হাইকোর্ট’র ।
নির্দেশ মোতাবেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ম্যাজিস্ট্রেট ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে তার শশুরের নিকট আনুষ্ঠানিক ভাবে হস্তান্তর করেন।
নীলফামারীর জেলা প্রশাসককে এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেট ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে দাফন কাজ সম্পন্ন করতে হবে। দাফনের আগে হোসনে আরা (নিপা রানীর) লাশ তার বাবার পরিবারকে দেখার সুযোগ দিতে বলা হয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, আইনি দ্বন্দ্বে মামলা নিষ্পত্তি না হওয়ায় ২০১৪ সালের ১০ মার্চ থেকে হাসপাতালের মর্গে পড়ে থাকে নিপা রানীর মরদেহ। ভালোবেসে ধর্মান্তরিত হয়ে বিয়ে করার কারণে মরদেহ নিয়ে এমন আইনি লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়েন ছেলে ও মেয়ের পরিবার। মামলাটি বিচারিক আদালত ঘুরে দীর্ঘদিন ধরে হাইকোর্টে আসে। রংপুর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আদালতের নিষেধাজ্ঞার কারণে মরদেহ হস্তান্তর করতে পারেনি। ভালোবাসা এরপর ধর্মান্তরিত হয়ে বিয়ে করেন নিপা-লাজু। এভাবেই কাটছিল লাজু ও নিপা রানী ওরফে হোসনে আরা লাইজু র দিন। কিন্তু বাদ সাধে নিপার পরিবার। নিপা অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় লাইজুর বিরুদ্ধে অপহরণের মামলা করে তার পরিবার। এ মামলায় লাইজুকে নেয়া হয় কারাগারে। নিপাকে রাখা হয় নিরাপত্তা হেফাজতে। পরে নিপাকে বাড়িতে ফিরিয়ে নেয় তার পরিবার। লাইজুও জেল খেটে বের হন। কিছুদিন পর লাইজু বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করে। নিপাও শোকে বিষপান করে আত্মহত্যা করেন। এরপর নিপার মরদেহ দাবি করে আদালতে মামলা করে দুপক্ষই। এ মামলাটি নিম্ন আদালত ঘুরে উচ্চ আদালতে আসে।
দীর্ঘ ৪ বছর পর উচ্চ আদালত থেকে সিদ্ধান্ত আসে হোসনে আরার (নিপা রানী) মরদেহ ইসলামি ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী দাফন করার।