৭ মার্চের বজ্র সম্ভাষণ: স্বাধীনতার ঘোষণা
৭ মার্চের বজ্র সম্ভাষণ: স্বাধীনতার ঘোষণা
সিডনীর কথকতা-৫
রণেশ মৈত্র (সিডনী থেকে)
সভপতিমন্ডলীর সদস্য, ঐক্য ন্যাপ
বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষনকেই আমি বজ্র সম্ভাষনই স্বাধীনতার ঘোষণা বলে ঠিক ষাটের দশক থেকেই মনে করে আসছি। ঐ সময়টাতে এ বিষয়য়ে দেশের রাজনৈতিক বিন্দুমাত্র দ্বিধা বা সংশয় প্রকাশ করতেও দেখা যায় নি। অযথা বিতর্ক সৃষ্টি হয় অনেক পরে।তবে মুসলিম লীগ ও তৎকালীন সামরিক শাসক গোষ্ঠী ভাষণটির তাৎপর্য্য ঠিকই বুঝে নিয়েছিল। তারা তার প্রচার নিষিদ্ধ করেছিল ও নেতৃবৃন্দকে কারাগারে ঢুকিয়ে, সংবাদপত্রে স্বাধীনতার উপর নিত্য নতুন আঘাত হেনে তারা ঐ ভাষণের জবাবও দিয়েছিল। শুধু তাই নয়-মুসলিম লীগ তার প্রচারাভিযানে বঙ্গবন্ধুর “জয় বাংলা” শ্লোগানটুকু উল্লেখ করে বলতো “জয় বাংলা” নামে “বাংলার জয়” অর্থাৎ “দুই বাংলাকে (পূর্ব ও পশ্চিম বাংলা মিলে অবিভক্ত বাংলা) ঐক্যবদ্ধ করে তারা জয়। যার মানে পাকিস্তানের বা বাংলারও নয়-ভারতের জয়। এসব অপপ্রচার জনমনে বিন্দুমাত্র প্রভাব ফেলতে সক্ষম না হলেও তার একটা ক্ষীণ শ্রোত কিন্তু দিব্যি প্রবহমান ছিলো। তবে কৌশলগত কারণেই হোক বা অন্য যে কোন কারণেই হোক, এই ভাষণকে মেন অসাধারণ গুরুত্ব দিয়ে তার ভিডিওর হাজার হাজার কপি দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিয়ে ব্যাপকভাবে প্রচারের ব্যবস্থা করলেও একে কখনই স্বাধীনতার ঘোষণা বলে মনে করে নি। সে ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ যেন বঙ্গবন্ধুর আনুষ্ঠানিক “আমি এতদ্বারা ঘোষণা করিতেছি যে ……জাতীয় একটি ঘোষণাপত্রকেই শুধু স্বাধীনতার ঘোষণা বলে মানতে চেয়েছেন। এই অবস্থা আজও বিদ্যমান।
কিন্তু পাকিস্তানের সামরিক সরকার? তারা ঠিকই বুঝে নিয়েছিল। তারা সমগ্র পূর্ববাংলা জুড়ে গুলি, বন্দুক কামানের দ্বারা নিরস্ত্র বাঙালি জাতিকে স্তব্ধ করতে উদ্যত হয়েছিল। শুরু করেছিল একতরফাভাবেই এক অঘোষিত যুদ্ধ যেন। এই হত্যালীলা যে পাকিস্তানী সৈন্যরা শুরু করেছিল বঙ্গবন্ধুর ঐ ভাষনেই তারাও উল্লেখ আছে। উল্লেখ শেষে তিনি বলেছিলন “আর যদি একটা গুলিও চলে ……..ইত্যাদি। বস্তুত: একটি অঘোষিত যুদ্ধই শুরু করেছিল পাকিস্তানের সামরিক সরকার গোটা বাঙালি জাতির বিরুদ্ধে। তা উপলব্ধি করেই ঐ ভাষণ দেন বঙ্গবন্ধু যাতে একদিকে দেশের তৎকালীন বিদ্যমান পরিস্থিতির বর্ণনা, সাথে সাথে তার বিরুদ্ধে দুঃসাহসী হুুঁশিয়ারী এবং জনগণের প্রতি আকুল আহ্বান, “যার যা আছে তা-ই নিয়ে ঘরে ঘরে শত্রুর বিরুদ্ধে দুর্গ গড়ে তোল” দিক নির্দেশনাও চিল অত্যন্ত স্পষ্ট। অশ্র হাতে আক্রমণ করলে অস্ত্র হাতেই প্রতিরোধ কর……..প্রতিরোধের দুর্গ ঘরে ঘরে গড়ে তোল।
সবশেষে বঙ্গবন্ধু যা স্পষ্টভাষায় বলে তাঁরা ঐ ঐতিহাসিক ভাষণের ইতি টানলেন তা হলো- “আজকের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম-এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।
এবারে আমরা সেদিনের দিকে পেছন ফিরে তাকালে বাংলাদেশের তৎকালীন মানুষকে এই ভাষণ কিভাবে গ্রহণ করতে দেখি? বঙ্গবন্ধুর এই ৭ মার্চের ভাষণকে কি তাঁরা বঙ্গবন্ধু সারা জীবন যে সব ভাষণ দিয়েছেন তারই মত একটি সাধারণ ভাষণ হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন? না প্রকৃত ইতিহাস – তৎকালীন পূর্ব বাংলার ঘটনাবলী আদৌ তা বলে না। বরং বলে সম্পর্ণ ভিন্ন কথা। মানুষ অভূতপূর্ব উদ্দীপনা নিয়ে তাতে সাড়া দিলেন। সাড়া দিলেন বঙ্গবন্ধু অসহযোগ আন্দোলনে। এমন অসহযোগ আন্দোলন – তার বিপুল সাফল্য পৃথিবীর আর কোথাও এ যাবত কাল পর্য্যন্ত চোখে পড়ে না। তিনি প্রতিদিন প্রেস নোট দিতেন যাতে স্বাক্ষর থাকতো শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদের। ঐ প্রেসনোটে বলা থাকতো সরকারী বেসরকারী-আধাসরকারী অফিসগুলি কবে কতটা পর্য্যন্ত বন্ধ রাখতে হবে। ঠিক সেই অনুযায়ী সেগুলি বন্ধ থাকতো। আবার বলা হতো অমুক অমুক দিন বেলা এতটা থেকে এতটা পর্য্যন্ত বেতন লেনদেন এর জন্য সরকারী-বেসরকারী ব্যাংক সমূহ খোলা থাকবে- বাদবাকী সময় ব্যাংক বন্ধ থাকবে। ঘড়ির কাঁটা দেখে ঠিক সে অনুযায়ী ব্যাংকগুলি খোলা বা বন্ধ রাখা হতো। অনুরূপভাবে সরকারী বে-সরকারী স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়, হাট-বাজার, যান-বাহন বন্ধ কি খোলা থাকবে – দিন, তারিখ সময় স্পষ্টভাবে সব উল্লেখ করে নির্দেশনা আসতো এবং তা অক্ষরে অক্ষরে পালিত হতো। অপর পক্ষে সামরিক শাসকেরা যা-ই বলতেন, জনগণ তা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করতো । এমন ঘটনার শুরু আসলে পহেলা মার্চ, ১৯৭১ থেকে এবং তা জোরদার হয়ে ওঠে বা তীব্র গতিতে চলতে শুরু করে ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের পর থেকে। বঙ্গবন্ধু হয়ে পড়েন দেশের প্রকৃত শাসন কর্তা বা তার তাইতেও যেন বেশী। ইতিহাসে এর নজির বস্তুত:ই নেই গোটা বিশ্বে আজতক। শুধু অসহযোগ আন্দোলনই তো নয়। “যার যা আছে – তাই নিয়ে ঐ যে ঝাঁপিয়ে পড়লো সমগ্র জাতি – তার পর থামেনি ১৬ ডিসেম্বর বিকেলের আগ পর্য্যন্ত। প্রথমে ২৫ মার্চের কাল রাত্রি থেকে প্রতিরোধ যুদ্ধ। অত:পর ভারত সরকারের সহায়তায় হাজারে হাজারে যুবকেরা সামরিক প্রশিক্ষণ নিয়ে গেরিলা ও সম্মুখ যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে নয় মাসব্যাপী জীবন মরণ-পণ করে চালালেন সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ। ১৬ ডিসেম্বরে “প্রবল পরাক্রমশালী” পাক-বাহিনীর আত্মসর্ম্পনের মধ্য দিয়ে অর্জিত বিজয়ের মধ্যে দিয়ে ঘটেছিল তার সফল সমাপ্তি।
বঙ্গবন্ধু তো ২৫ মার্চ রাতেই ঢাকাস্থ ৩২ নং ধানমন্ডীর বাড়ী থেকে গ্রেফতার হয়ে যান। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় পশ্চিম পাকিস্তানের কারাগারে তথাকথিত রাষ্ট্র দ্রোহীতার অপরাধে। “রাষ্ট্রদ্রোহিতা? অদ্ভ’ত এক বাক্য পাকিস্তানী শাসক গোষ্ঠির মুখে। রাষ্ট্র মানে তো জনগণ-রাষ্ট্র চালাবে জনগণের ইচ্ছা অনুযায়ী- জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে। বঙ্গবন্ধু সেইভাবেই নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। আর তাঁর কথামত দেশের শতকরা একশ জন মানুষই চলছিলেন তবুও তাঁকে বলা হলো রাষ্ট্রদ্রোহী। অভিযোগটি সঠিকভাবে ঘটে ইয়াহিয়া খানের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে নয়। সামরিক শাসকদের এই অপচেষ্টা, এই হুুঁশিয়ারীকে যাড়াই পরোয়া করে তাকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করে বাঙালি জাতি একাত্ম হয়ে বঙ্গবন্ধুর মুক্তির দাবীতে সোচ্চার হন এবং তা আদায়ের একমাত্র পদ্ধতি সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন, পাকিস্তানকে চূড়ান্তভাবে পরাজিত করার মাধ্যমেই হতে পারে তাও তাঁরা সঠিকভাবেই উপলব্ধি করেছিলেন। ভিন্ন কোন পথে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন ও বঙ্গবন্ধুকে সুস্থ জীবিত অবস্তায় ফেরত পাওয়াও সম্ভব ছিল না।
৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণটি বহুমাত্রিক প্রবাব ফেলতে সমর্থ হয় বাঙালি জাতির মননে, চিন্ত-চেতনায় এবং তা এতটাই যে তাকে অসাধারণ বললেও হয়তো কম বলা হয়।
বামপন্থীদের ইতিবাচক অবদান অবশ্য ছয় দফা আন্দোলন, ‘৬৯ এর গণক অভ্যূত্থান, ৭০ এর নির্বাচন এবং তারপর বঙ্গন্ধুর হাতে ক্ষমতা প্রত্যার্পনের দাবীতে সংগঠিত আন্দোলনের মূল স্রোত রূশপন্থী হিসাবে অভিহিত তৎকালীন বামপন্থীরা দ্বিধাহীনভাবে অংশগ্রহণ করে বাঙালির সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ একটি যৌথ প্রক্রিয়া প্রক্রিয়ায় পরিণতই শুধু করেন নি – জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের বামপন্থীদের এই ভূমিকা গৌরবজনক বলে অভিহিত হয়েছিল। আবার এ কথাও অনস্বীকার্য্য যে তৎকালীন ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস নেত্রী ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বে সমগ্র ভারতবাসী এগিয়ে না এলে মুক্তিযুদ্ধের কার্যক্রমে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করাও দুরূহ হয়ে পড়তো। যখন দেখা গেল, আমেরিকা, চীন এবং মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলি পাকিস্তানের পক্ষে একযোগে নৈতিক ও বৈষয়িক সমর্থন দিয়ে চলেছে-পাকিস্তারেনর পক্ষ হয়ে তারা একযোগে জাতিসংঘেও গণহত্যার সমর্থনেক ভূমিকা নিয়ে চলছে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষেও তারা সুদৃঢ় অবস্থান নিয়ে চলেছে তখন তিনি বিচলিত না হয়ে পারেন নি। মুজিবনগর সরকারের অভ্যন্তরে বিরোধী – (গোয়েন্দার মুশতাকের নেতৃত্বধীন অংশের উদ্যোগে) এবং মুক্তি বাহিনী থাকার পরও বিশেষ একটি লাঠির মাধ্যমে মুজিবনগররে বিরোধীতা সত্বেও “মুজিব বাহিনী” নামে অপর একটি বাহিনী ভিন্ন উদ্দেশ্যে গঠন প্রভৃতি দেখার পর ইন্দিরা গান্ধী বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী (মুজিবনগর রাজধানী থাকাকালে) শহীদ তাজউদ্দিনকে ওয়ালীখানের নেতৃত্বাধীন ন্যৗাপ ও কমরেড মনি সিংহেরনেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের কমিউনিষ্ট পার্টির সাথে যোগাযোগ করে সমাজতান্ত্রিক বিশ্বের সমর্থন আদায়ের জরুরী গুরুত্বের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তখন তাজউদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক মোজাফ্ফ আহমেদ, কিমরেড মানি সংহ এবং মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাষানী ও মনোরঞ্জন ধরকে নিয়ে মুজিবনগর সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ গঠন ও বামপন্থী দুটি দলের সবাত্মক প্রচেষ্টায় সোভিয়েত ইউনিয়নের নেতৃত্বাধীন, সমাজতান্ত্রিক, বিশ্বের সক্রিয় , নৈতিক ও বৈষয়িক সর্বাত্মক সহযোগিতা পাওয়ায় নয় মাসের মধ্যে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ সম্পন্ন করা, পাকিস্তানকে পরাজিত করে এক গৌরবোজ্জ্বল বিষয় অর্জন করা সম্ভব হয়।
এই বর্ণনা ইতিহাস পৃথিবীর নানা দেশে সংরক্ষিতও বটে। তবু বিস্মিত হই একটি বিতর্ক দেখে। বিতর্ক আওয়ামী লীগ ও বিএ .পি.-র মধ্যে বি.এন.পি-র উদ্দেশ্যমূলক বা বালখিল্য দাবী তৎকালীন মেজর জিয়া ২৭ মার্চ-চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেন এবং তিনিই হন আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা দেন এবং তিনিই হন প্রথম রাষ্ট্রপ্রতি। এই চরম অসত্য বালখিল্য দাবীর জবাবে আওয়ামীল লীগ বলে থাকে গ্রেফতারের পূর্ব মুহুর্তে বঙ্গবন্ধু ৩২ নং ধানমন্ডী থেকে লিখিতভাবে ঐ ঘোষণাপত্র, তাঁর স্বাক্ষর সম্মলিত, চট্টগ্রামে পাঠিয়ে দেন যা ঐ কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র মারফত ঘোষণা করা হয়। এ জাতীয় ঘোষণা কি ঐতিহাসিকভাবে সঠিক? আমরা এবং তৎকালীন বাঙালি জাতির সার্বিক কর্মকান্ডে প্রমাণিত সত্য যে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ সর্বাধিক বিবেচনায় ঐতিহাসিক এই কারণে যে ঐ ভাষণে তিনি স্পষ্টত:ই বলেছেন “আজকের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, আমাদের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।” এবং এই বক্তব্য শুনে মানুষ তাঁর নির্দেশ অনুযায়ী “যার হাতে যা ছিল তাই নিয়ে” পাক সৈন্যদের বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে সমগ্র বাঙালি জাতি ঐক্যবদ্ধভাবে। আর এ কারণেই ঐ ভাষণ পৃথিবীর সেরা ভাষণ। ইউনিসেফ এর স্বকৃতি অভিনন্দনযোগ্য হলেও তা অত্যধিক বিলম্বিত।
প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব। কাগজ২৪-এর সম্পাদকীয়নীতি/মতের সঙ্গে লেখকের মতামতের অমিল থাকতেই পারে। তাই এখানে প্রকাশিত লেখার জন্য কাগজ২৪ কর্তৃপক্ষ লেখকের কলামের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে আইনগত বা অন্যকোনও ধরনের কোনও দায় নেবেনা।
কাগজটুয়েন্টিফোর বিডি ডটকম এ প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।